অধিকারপত্র ডটকম শৈলী
ঢাকা: আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া নিয়ে সরকারের চলছে বলে একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র নিশ্চিত করেছে। বিশেষ করে, পশ্চিমা কূটনীতিক ও আন্তর্জাতিক মহল থেকে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে চাপ এবং বিতর্কিত নেতাদের নিয়ে জনমনে অসন্তোষের পরিপ্রেক্ষিতে 'ক্লিন ইমেজ' বা স্বচ্ছ ভাবমূর্তির প্রার্থীদের মনোনয়ন দেওয়ার জন্য সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে একটি জোরালো মত তৈরি হয়েছে
জানা গেছে, সরকারের একটি প্রভাবশালী অংশ মনে করছে, আন্তর্জাতিক চাপ এবং অভ্যন্তরীণ ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের জন্য দুর্নীতি, ভূমিদখল বা অন্য কোনো গুরুতর অভিযোগে অভিযুক্ত নন, এমন নতুন ও স্বচ্ছ ভাবমূর্তির প্রার্থীদের নির্বাচনে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। এ বিষয়ে সরকারের উচ্চ মহলে একটি সবুজ সংকেত (গ্রীন সিগন্যাল) দেওয়া হয়েছে বলেও খবর রয়েছে। এর লক্ষ্য হলো, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করে তোলা।
তবে, এই 'ক্লিন ইমেজ' বা সম্পূর্ণ নতুন মুখের ওপর নির্ভর করার কৌশল নিয়ে দলের প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিন্নমত পোষণ করেছেন বলে একাধিক সূত্র দাবি করেছে।
প্রধানমন্ত্রীর যুক্তি হলো— কেবল ক্লিন ইমেজ দেখেই প্রার্থী ঠিক করা একটি ঝুঁকিপূর্ণ সিদ্ধান্ত হতে পারে। তিনি মনে করেন, শুধুমাত্র ভাবমূর্তি নয়, বরং প্রার্থীর মাঠের জনপ্রিয়তা, সাংগঠনিক দক্ষতা, এবং জনগণের সঙ্গে তার গভীর সংযোগ— এই বিষয়গুলিকেই সমান গুরুত্ব দিতে হবে। শেখ হাসিনা মনে করেন, দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত ও নিবেদিতপ্রাণ
নেতাকর্মীরা, যাদের সাংগঠনিক ভিত্তি মজবুত, তাদেরকে বাদ দিয়ে শুধুমাত্র 'ক্লিন ইমেজ'ধারী নতুন মুখদের প্রার্থী করলে ভোটের মাঠে চ্যালেঞ্জ আসতে পারে। অনেক সময়, পুরনো বা বিতর্কিত তকমাযুক্ত প্রার্থীরও স্থানীয় রাজনীতিতে এমন গভীর প্রভাব থাকে, যা ভোট জেতার জন্য অপরিহার্য।
এই দুই মতের মধ্যে সমন্বয়ের জন্য দলের নীতি-নির্ধারকরা একটি ভারসাম্যপূর্ণ কৌশল তৈরির চেষ্টা করছেন। তবে, শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।
দিল্লি-ওয়াশিংটনের কড়া বার্তায় নড়চড়! বিতর্কিত নেতাদের বাদ দিতে সরকারের কড়া অবস্থান; কিন্তু সেই 'ক্লিন ইমেজে' আপত্তি শেখ হাসিনার! ভেতরের খবর ফাঁস
#AwaamiLeague #SheikhHasina #NominationStrategy #BangladeshElection #ক্লিনইমেজ #আওয়ামীলীগমনোনয়ন #শেখহাসিনা #জাতীয়নির্বাচন #AdhikarpatraExclusive
এই খবরের সত্যতা:
এটি একটি রাজনৈতিক বিশ্লেষণধর্মী খবর যা মূলত সরকারি দলের অভ্যন্তরের কৌশল ও আলোচনা সংক্রান্ত সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি। এই ধরনের খবর সাধারণত বিভিন্ন রাজনৈতিক সূত্রের গোপন তথ্য, দলীয় বৈঠক বা নীতি-নির্ধারক মহলের আলোচনার ওপর ভিত্তি করে প্রকাশিত হয়।
* সত্যতা যাচাই: যেহেতু এটি দলের অভ্যন্তরীণ নীতি বা কৌশল সংক্রান্ত খবর, তাই এর শতভাগ আনুষ্ঠানিক সত্যতা নিশ্চিত করা কঠিন। তবে, আন্তর্জাতিক চাপ এবং দল থেকে বিতর্কিতদের বাদ দেওয়ার আলোচনা রাজনৈতিক মহলে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক ও চলমান বিষয়। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এই ধরনের আলোচনা সংক্রান্ত খবর প্রায়শই প্রকাশিত হয়।
: খবরটি সম্পূর্ণ মিথ্যা না হলেও, প্রকাশিত তথ্যের কোনো আনুষ্ঠানিক বা সরকারি স্বীকৃতি নেই। এটি ক্ষমতাসীন দলের ভেতরের কৌশলগত বিতর্ক তুলে ধরছে।
আপনি কি এই খবরের উৎস সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য জানতে চান, নাকি অন্য কোনো বিষয়ে জানতে ইচ্ছুক?

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: