ঢাকা, ১৬ অক্টোবর, ২০২০ : স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন (এলজিআরডি) ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের (কভিড-১৯) বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে উন্নয়নে গৃহীত পরিকল্পনা লন্ডভন্ড হলেও বাংলাদেশ সঠিক পথেই হাঁটছে।
তিনি আজ শুক্রবার কুমিল্লার লাকসামে যমুনা ব্যাংক ডায়ালাইসিস সেন্টারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ করোনার কারণে এখন পর্যন্ত কোনো পরিকল্পনা নিতে পারছে না। কিন্তু বাংলাদেশ পরিকল্পনা করেই উন্নয়নের রোডম্যাপ তৈরি করছে এবং সে-অনুযাযি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণ কাজ এগিযে যাচ্ছে।
মন্ত্রী এ সময় উল্লেখ করেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর করোনাকালীন সময়ে দেশের মানুষ এবং কৃষি, শিল্প ও স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন খাত সচল রাখার জন্য ৮০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা দাবি করে মনে করেছিলেন সরকার তা দিতে ব্যর্থ হবে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী ১ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন।
এলজিআরডি মন্ত্রী বলেন,করোনা মহামারীর মধ্যেও বাংলাদেশের অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন-অগ্রযাত্রার ম্যাজিক সম্পর্কে বিভিন্ন দেশের নেতৃবৃন্দ এবং প্রতিনিধিরা তার কাছে জানতে চান।
জবাবে,তিনি তাদের জানান এটি কোন ম্যাজিক নয়, এটি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শিতা, বলিষ্ঠ নেতৃত্ব, যথাযথ পরিকল্পনা এবং সঠিক নির্দেশনার ফল বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
তাজুল ইসলাম বলেন,বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকাররা ক্ষমতায় এসে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ, দূর্নীতি, চাঁদাবাজি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাত ধ্বংস করে দেয়। এমনকি তারা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করেছে। এছাড়াও একই দিনে এক সাথে ৬৩ জেলায় একই সময় বোমা হামলা চালিয়ে সারাদেশে বিভীষিকাময় অবস্থা তৈরি করে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে স্বাধীনতার চেতনা প্রতিষ্ঠা এবং ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে দেশকে সঠিক পথে এগিযে নিয়ে যাচ্ছেন।
মন্ত্রী এসময় ঐতিহ্যবাহী সংগঠন ছাত্রলীগ এবং যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকসহ স্থানীয় দলীয় নেতাকর্মী ও সকল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর উদ্দেশ্য¿ী বলেন,‘কেউ যদি কোন প্রকার অন্যায়- অনিয়ম, ঘুষ-দুর্নীতির সাথে যুক্ত থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে’।
যমুনা ব্যাংক ফাউন্ডেশন ও যমুনা নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নূর মোহাম্মদের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক আবুল ফজল মীর, পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আব্দুর রশিদ, যমুনা ব্যাংকের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মির্জা ইলিয়াছ উদ্দিন আহম্মেদ।
এরপর,স্থানীয় সরকার মন্ত্রী লাকসাম পৌরসভার নবনির্মিত লাকসাম-সাহাপাড়া আরসিসি রাস্তা ও ড্রেন, ডাকাতিয়া নদীর উপর ৪০ কিলোমিটার আরসিসি আর্চ গার্ডার ব্রিজ, নওয়াব ফয়জুন্নেসা কলেজের সামনের ব্রিজ, ডাস্টবিন প্রকল্প, বঙ্গবন্ধু কর্ণার, পৌরভবন সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন এবং ডাকাতিয়া নদীর উপর লাকসাম-পেয়ারাপুর ব্রিজসহ বিভিন্ন নির্মানের কাজের উদ্বোধন এবং ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
