04/19/2025 বিএনপির শাসনামল ছিল মির্জা আব্বাসের লাগামহীন দুর্নীতি ও সন্ত্রাস : সজীব ওয়াজেদ জয়
odhikarpatra
৬ নভেম্বর ২০২২ ০৩:৩৭
তিনি বলেন, এমনকি যে সমিতির নামে জমিটি ৯৯ বছরের জন্য লিজ দেওয়া হয়েছিল, সেই সমিতির নামও সমবায় অফিসের তালিকায় খুঁজে পাওয়া যায়নি। ২০০৭ সালের ২৮ জুলাই দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার সংবাদে এ সব তথ্য প্রকাশ করা হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসার পর রেলওয়ের পক্ষ থেকে তাদের জমির ন্যায্য দখল ফিরে পাওয়ার দাবি জানালে বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশনের নজরে আসে।
জয় বলেন, জানা যায় ২০০৬ সালের অক্টোবরে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতা ছাড়ার আগে এটাই মির্জা আব্বাসের শেষ দুর্নীতি। মাত্র ১৪ দিনের মধ্যে পূর্বাচল সমবায় সমিতির নামক একটি কাগুজে প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ১ কোটি ৪৬ লাখ টাকা নগদ জমা নিয়ে জমির দখল বুঝিয়ে দেওয়া হয়। রেলওয়ের মালিকানাধীন ওই জমির একটি অংশে রেলওয়ের অনুমোদনক্রমে একটি প্রতিষ্ঠান লিজ নিয়ে ব্যবসা করছিল। কিন্তু মির্জা আব্বাস পেশী শক্তি খাটিয়ে তাদেরও সেখান থেকে তাড়িয়ে দেন। এই ঘটনায় রেলওয়ে প্রতিবাদ জানালেও মির্জা আব্বাসের ক্যাডার বাহিনীর প্রতাপের কাছে হেরে যায় তারা।
সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, বিএনপির শাসনামলে এভাবেই সন্ত্রাসীদের ক্ষমতার দাপটে নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা করা হয়নি কোথাও। এমনকি সরকারি কর্মচারীদেরও হুমকি-ধামকি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে গেছে বিএনপি-জামায়াতের এমপি-মন্ত্রীরা। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ভাই-ভাগ্নেসহ অন্যান্য স্বজন এবং মোসাদ্দেক আলী ফালুর নামেও রাষ্ট্রের ৮শ’ কোটি টাকার জমি জালিয়াতি করে দলিল দিয়েছিল এই আব্বাস। এমনকি তারেক রহমানের হয়ে শীর্ষ সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতো ঢাকার যে চারজন এমপি, আব্বাস তাদের মধ্যেও অন্যতম।