11/05/2025 অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্র : ন্যায় বিচার চেয়েছেন সজীব ওয়াজেদ জয়
odhikarpatra
১৪ November ২০২২ ০৫:১৫
জয়কে অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ২০১৫ সালে পল্টন থানায় এ মামলা করে পুলিশ।
জয় আজ রোববার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আসাদুজ্জামান নুরের আদালতে উপস্থিত হয়ে সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ নিয়ে মামলায় ১৫ জনের মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে।
আজ তিনি বেলা ৩ টা ১৭ মিনিটে আদালতে উপস্থিত হন। এরপর বেলা ৪ টার দিকে আদালত ত্যাগ করেন।
ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল্লাহ আবু জানান, সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তিনি আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
সাক্ষ্যতে তিনি বলেন,‘বাংলাদেশের বিএনপি’র উচ্চপর্যায়ের নেতারা আমাকে হত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিলেন। এঘটনায় আমেরিকাতেও মামলা হয়েছে। সেখানে এফবিআইয়ের এজেন্ট রবার্ট লাক্টিটসহ কয়েকজনের শাস্তিও হয়েছে।’
পিপি আব্দুল্লাহ আবু বলেন, আমেরিকার মামলায়ও সজীব ওয়াজেদ জয় সাক্ষ্য দিয়েছেন। বাংলাদেশে সাংবাদিক শফিক রেহমানের বাসায় বসে তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। আলামত হিসেবে শফিক রেহমানের বাসা থেকে বিভিন্ন কাগজপত্র জব্দ করা হয়েছে। সাক্ষ্য শেষে তিনি আদালতে ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের আগে যে কোনো সময় থেকে এ পর্যন্ত বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনসহ বিএনপি ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত অন্যান্য দলের উচ্চ পর্যায়ের নেতারা রাজধানীর পল্টনের জাসাস কার্যালয়ে, আমেরিকার নিউ ইয়র্ক শহরে, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার আসামিরা একত্রিত হয়ে যোগসাজশে সজীব ওয়াজেদ জয়কে আমেরিকায় অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
ওই ঘটনায় ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান বাদি হয়ে পল্টন মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিক শফিক রেহমানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।
মামলার অপর আসামিরা হলেন, দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন, তার ছেলে রিজভী আহাম্মেদ ওরফে সিজার এবং যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ব্যবসায়ি মিজানুর রহমান ভূঁইয়া।