নেতা-কর্মীরা বলছেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দেশের ক্লান্তিকালে, দুর্যোগ-দুর্বিপাকে, আন্দোলন-সংগ্রামে সবসময় দেশ ও সাধারণ মানুষের পাশে ছিল যুবলীগ। এরই ধারাবাহিকতা করোনা মহামারিতে বিনামূল্যে মাস্ক, হ্যাণ্ড স্যানিটাইজার, ঔষধ, ফ্রি মেডিকেল সেবা, বিনামূল্যে অক্সিজেন সেবা, ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স ও করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত ব্যক্তির লাশ দাফন/সৎকার করে মানবিকতার দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছে।
যার ফলে জাতীয় সংসদে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী যুবলীগকে ভূঁয়সী প্রশংসা করেছেন। প্রশংসিত হয়েছে সর্বমহলে। যুবলীগের মানবিক কার্যবলী অব্যাহত রাখতে শীতের তীব্রতা যখন প্রচণ্ড আকার ধারণ করে, তখনও সংগঠনের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিলের নেতৃত্বে শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন নেতা-কর্মীরা।
গত বছরের ২১ নভেম্বর যশোরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা সফল করার লক্ষ্যে যুবলীগের বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই সভা শেষে ১০০০ জন শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করে দেশব্যাপী শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন পরশ। গত ২৯ নভেম্বর চট্টগ্রামে প্রধানমন্ত্রী জনসভা সফল করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি সভা শেষে চট্টগ্রামের সিআরপি চত্বরে যুবলীগের পক্ষ থেকে ১০০০ শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়।
যুবলীগের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে গত ১৫, ১৬ ও ১৭ জানুয়ারিতে ৭ সদস্যের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন এমপির নেতৃত্বে উত্তরবঙ্গের দিনাজপুরে ৪ হাজার, পঞ্চগড়ে ২ হাজার, নীলফামারীতে ২ হাজার এবং ঠাকুরগাঁওয়ে ৪ হাজার শীতার্ত মানুষের শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।

এছাড়া শেখ হাসিনার নির্দেশে ও যুবলীগ চেয়ারম্যানের আহ্বানে দেশব্যাপী যুবলীগের নেতা-কর্মীরা শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন। শীতের প্রথমার্ধে যুবলীগের পক্ষ থেকে দেড় লাখেরও অধিক কম্বল বিতরণ করা হয়েছে এবং এখনও অব্যাহত রয়েছে
বিভিন্ন জেলা ও মহানগর যুবলীগের কম্বল বিতরণের তালিকা:

কেন্দ্রীয় যুবলীগ ২৩৬০০টি, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তর ১১০০০টি, ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণ ১৫০০টি, পঞ্চগড় জেলা ৫০০টি, লালমনিরহাট জেলা ২০০টি, দিনাজপুর জেলা ৪০০০টি, কুড়িগ্রাম জেলা ১২০০টি, নীলফামারী জেলা ১০০০টি, ঠাকুরগাঁও জেলা ৮০০০টি, গাইবান্ধা জেলা ২০০০টি, নাটোর জেলা ৫০০০টি, পাবনা জেলা ৮০০০টি, বগুড়া জেলা ৯৭০০টি, জয়পুরহাট জেলা ৫০০টি, নওগাঁ জেলা ১০০০টি, খুলনা মহানগর ২০০০টি, যশোর জেলা ৮০০০টি, কুষ্টিয়া জেলা ৪০০০টি, মেহেরপুর জেলা ৫৫০০টি, মাগুরা জেলা ২০০০টি, ঝিনাইদহ জেলা ৫০০টি, চুয়াডাঙ্গা জেলা ১০০০টি, ফরিদপুর জেলা ১০০০টি, মাদারীপুর ৪০০টি, ঢাকা জেলা ১১০০টি, নারায়ণগঞ্জ জেলা ৭০০টি, টাঙ্গাইল জেলা ৫০০টি, মানিকগঞ্জ জেলা ১০০০টি, গাজীপুর জেলা ৫০০০টি, গাজীপুর মহানগর ২৫০০টি, ময়মনসিংহ জেলা ১৬০০টি, ময়মনসিংহ মহানগর ৫০০টি, জামালপুর জেলা ৩০০টি, নেত্রকোণা জেলা ১৫০০টি, শেরপুর জেলা ২০০টি, পটুয়াখাীল জেলা ৫০০০টি, কুমিল্লা উত্তর জেলা ১৫০০টি, কুমিল্লা মহানগর ২৫৬০টি, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ২০০০টি, লক্ষ্মীপুর জেলা ২৫৯০টি, ফেনী জেলা ১৫০০টি, নোয়াখালী জেলা ৪০০০টি, চট্টগ্রাম মহানগর ৪৫০০টি, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ১০০০টি, সুনামগঞ্জ জেলা ১৫০০টি ও মৌলভীবাজার জেলা ৭০০টি; অর্থাৎ সর্বমোট ১,৫৫,৩৫০টি কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।