11/05/2025 চট্টগ্রামের চন্দনাইশে অবৈধ ‘ক্রস ফিলিং’ গুদামে অভিযান, ১৬৭২টি গ্যাস সিলিন্ডার জব্দ
odhikarpatra
১৫ February ২০২৫ ২৩:৩০
চট্টগ্রামের চন্দনাইশে অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণভাবে গ্যাস ভরার জন্য মজুদকৃত ‘ক্রস ফিলিং’ (এক সিলিন্ডার থেকে আরেক সিলিন্ডারে গ্যাস ভরা) এর গুদামে অভিযান চালিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। সেনা সদস্যরা গুদাম থেকে এক হাজার ৬৭২টি খালি গ্যাস সিলিন্ডার ও একটি পিকআপ ভ্যান জব্দ করে উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে হস্তান্তর করেছে।
সেনাবাহিনীর চন্দনাইশ ক্যাম্প ও উপজেলা প্রশাসন জানায়, গত বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত মধ্যরাতে চন্দনাইশ ক্যাম্পে দায়িত্বরত মেজর ফজলে রাব্বির নেতৃত্বে সেনা সদস্যরা অভিযান পরিচালনা করে। এসময় অবৈধভাবে ক্রস-ফিলিং এর কাজে ব্যবহারের জন্য মজুদকৃত এক হাজার ৬৭২টি খালি গ্যাস সিলিন্ডার এবং সিলিন্ডার পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত একটি পিক-আপ জব্দ করা হয়।
সেনাবাহিনী এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে উপজেলা প্রশাসনকে অনুরোধ জানালে শুক্রবার দুপুরে উপজেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ডিপ্লোমেসি চাকমা নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে সিলিন্ডার গুলো জব্দ করা হয়। অনেক বেশী সিলিন্ডার হওয়ায় ভ্রাম্যমান আদালত স্থানীয় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চন্দনাইশ উপজেলার প্রতিনিধি হাসনাত আবদুল্লাহ’র জিম্মায় রাখেন সিলিন্ডারগুলো। ভ্রাম্যমান আদালত পিক-আপ ভ্যানটি থানা সদরে নিয়ে আসেন। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে মালিকসহ সবাই পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা যায়নি।
উপজেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ডিপ্লোমেসি চাকমা জানান, অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণ উপায়ে সিলিন্ডারে গ্যাস ক্রস ফিলিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানির নকল স্টিকার ব্যবহার করে সিলিন্ডারগুলো বাজারজাত করছে মেসার্স নুসরাত এন্টারপ্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠান। গোপনে খবর পেয়ে গুদামটিতে অভিযান পরিচালনা করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। অভিযানে অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণ উপায়ে বড় থেকে ছোট বোতলে গ্যাস ক্রস-ফিলিং করার সত্যতা পাওয়া গেছে।
তিনি জানান, ঘটনাস্থলে কাউকে পাওয়া যায়নি। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে লাইসেন্স ছাড়া অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণ উপায়ে সিলিন্ডারে গ্যাস ক্রস ফিলিং করছেন স্থানীয় মেসার্স নুসরাত এন্টারপ্রাইজের মালিক। এর আগে ২০২২ সালে একই কারণে প্রতিষ্ঠানের মালিককে জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। তারপরও এই প্রতিষ্ঠানের মালিক তার অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।