11/05/2025 এবছর রাজধানীতে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার আশঙ্কা কম
Mahbubur Rohman Polash
১১ March ২০১৮ ১৯:২৮
বছর রাজধানী ঢাকাতে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার আশঙ্কা কম।
সম্প্রতি স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা মশা এবং মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার অবস্থা নিয়ে সম্প্রতি একটি জরিপ পরিচালনা করেছে। জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘এ বছর ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার আশঙ্কা কম রয়েছে রাজধানী ঢাকা।’
স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার জরিপ থেকে জানা গেছে, এবছর রাজধানীতে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার আশঙ্কা কেমন হবে, সে লক্ষ্যে নগরীর ১০০টি স্থানে জরিপ চালানো হয়েছে। এর মধ্যে ১৯ স্থানে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া মশার পরিমাণ একটু বেশি দেখা গেছে। তবে এ নিয়ে আতংকিত হবার তেমন কোন কারণ নেই।
জরিপের প্রতিবেদনের বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. সানিয়া তাহমিনা বলেন, সম্প্রতি রাজধানীতে মশার গতিবিধি ও উপদ্রবের ওপর একটি প্রাক মৌসুম জরিপ পরিচালনা করে স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা। জরিপ প্রতিবেদনে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া বাহিত মশার তেমন উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। নগরীর ৯৭ শতাশই এনোফিলিস মশা, যা চিকুনগুনিয়া ও ডেঙ্গুর জন্য দায়ী নয়।
তবে প্রস্তুতি হিসেবে, স্বাস্থ্য অধিদপতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা কর্তৃক ডেঙ্গু রোগের ক্লিনিক্যাল ম্যানেজমেন্টের উপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ, পপুলার মেডিকেল কলেজ ও ঢাকা শিশু হাসপাতালে কর্মরত মোট ১৮০ জন চিকিৎসককে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হরেছে।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, সামনে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার মৌসুম আছে। সরকারি উদ্যোগে মশক নিধন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
তিনি বলেন, গত বছর চিকুনগুনিয়ার প্রাদুর্ভাব অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে মোকাবেলা করেছে বাংলাদেশ। গত এক বছর ধরে দেশে চিকুগুনিয়া ও ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে নানা কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। চিকুনগুনিয়া ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই। এ বিষয়ে সজাগ রয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, দেশে ডেঙ্গু রোগের ক্লিনিক্যাল ম্যানেজমেন্ট গাইড লাইন তৈরি করা হয়েছে। সম্প্রতি ঢাকা শিশু হাসপাতালে ডেঙ্গুরোগ দ্রুত সনাক্তকরণ কীটস সরবরাহ করা হয়েছে। ঢাকা শহরের ৯৩টি ওয়ার্ডের একশ’টি এলাকার ২ হাজার বসতবাড়িতে এডিস মশার সার্ভে পরিচালনার মাধ্যমে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগের ঝুকিপূর্ণ এলাকাসমূহ চিহ্নিত করা হয়েছে।