11/06/2025 কিয়েভের নিরাপত্তা নিশ্চিতে একযোগে মিত্রদের অঙ্গীকার, সেনা পাঠাতে প্রস্তুত ২৬ দেশ
odhikarpatra
৬ September ২০২৫ ০৬:৪৭
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার পরদিন থেকেই ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে স্থল, নৌ ও আকাশপথে সেনা মোতায়েন করবে ২৬টি পশ্চিমা মিত্র দেশ। বৃহস্পতিবার প্যারিসে অনুষ্ঠিত ৩৫ দেশের "কোয়ালিশন অব দ্য উইলিং" বৈঠকের পর তিনি এ ঘোষণা দেন। ম্যাক্রোঁ বলেন, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কিয়েভের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চয়তা কার্যকর হবে। তবে তিনি স্বীকার করেন, সাম্প্রতিক সময়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈঠকের পর থেকে যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা আরও ক্ষীণ হয়ে এসেছে।
ট্রাম্প বৈঠকের পর পশ্চিমা নেতাদের সঙ্গে ফোনালাপে বলেন, তিনি আশা করছেন দ্রুত একটি সমাধান হবে। তবে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি সেনা পাঠাবে কি না, সে বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসেনি। ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র সম্ভবত আকাশপথে সহায়তা দেবে। অন্যদিকে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টার্মার বলেছেন, পশ্চিমা মিত্রদের এখন ইউক্রেনের পাশে "অটুট অঙ্গীকার" রয়েছে। জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জও বলেন, প্রথম অগ্রাধিকার হলো যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করা, এরপর শক্তিশালী নিরাপত্তা নিশ্চয়তা প্রদান।
মস্কো অবশ্য স্পষ্ট জানিয়েছে, ইউক্রেনে কোনো পশ্চিমা সেনা মোতায়েন তারা মেনে নেবে না। বরং রাশিয়াকে "গ্যারান্টর" হিসেবে রাখার প্রস্তাব দিয়েছে, যা কিয়েভ ও তার মিত্ররা প্রত্যাখ্যান করেছে। এদিকে ইউক্রেনে রুশ হামলা অব্যাহত রয়েছে। বৃহস্পতিবার উত্তরাঞ্চলে মাইন অপসারণে নিয়োজিত দুইজন নিহত হয়েছেন। ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটে স্পষ্ট বলেছেন, ইউক্রেনে সেনা মোতায়েনের বিষয়ে রাশিয়ার কোনো ভেটো নেই: এটি একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র, তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার মস্কোর নেই। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন আবারও জানিয়েছেন, সমঝোতা না হলে তারা সামরিকভাবে সব লক্ষ্য পূরণ করবে। তবে আলোচনার জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে মস্কোতে আসার প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি, যা কিয়েভ ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে নাকচ করেছে।
ফরাসি প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্তে দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধবিরতির উদাহরণ টেনে বলেন, ইউক্রেনও এমন একটি সমাধান খুঁজছে যেখানে মিত্রদেশগুলোর উপস্থিতি শক্ত বার্তা দেবে।
- লেখক বিশেষ প্রতিনিধি (Special National Correspondent) মোঃ সাইদুর রহমান (বাবু)