11/08/2025 ঘি খেতে চাইলে চামচ ব্যবহার করুন—আঙুল বাঁকিয়ে ঘি খাওয়াকে সমালোচনা ডা. সায়ন্থের
odhikarpatra
৭ November ২০২৫ ২৩:৫১
চিকিৎসক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডা. সাখাওয়াত হোসেন সায়ন্থ জামায়াতে ইসলামীকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, কেউ যদি আধুনিকভাবে জীবন চলাতে চায় তাহলে পুরনো রীতিতে আঙুল বাঁকিয়ে ঘি তুলে খাওয়া উচিত নয়—ভদ্রভাবে চামচ ব্যবহার করে খান। সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তিনি এই আচরণকে অনুকূল লক্ষণ হিসেবে দেখেননি এবং এটিকে ‘উত্তেজক’ বলেও আখ্যা দিয়েছেন।
টক শো-এ অংশ নিয়ে ডা. সায়ন্থ বলেন,
“ঘি খাওয়ার ইচ্ছে হলে কেন পুরনো রীতিতে আঙুল বাঁকিয়ে ঘি তুলে খেতে হবে? আঙুল চাটতে হবে কেন? যদি চাটার ইচ্ছে থাকে তবে তা গোপনে করুন; আর আধুনিকভাবে খেতে চাইলে চামচ ব্যবহার করে ভদ্রভাবে খান।”
তিনি বলেন, এমন ধরনের “চাটাচাটি” আর বাহিরে এসে জাতিকে নষ্ট করা গ্রহণযোগ্য নয়। এর মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক সংগঠনের মধ্যে দম্ভান্বিত আচরণ দেখা যাচ্ছে—যা সমাজে অস্থিরতা তৈরি করতে পারে।
সায়ন্থ বলেন, জামায়াত ও অনুরূপ ধর্মভিত্তিক গোষ্ঠী দীর্ঘদিন ধরে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। তাদের তৎপরতা বর্তমানে এতটা বাড়িয়েছে যে তারা ‘নো হাংকি-পাংকি’ ধরনের কণ্ঠস্বরও ব্যবহার করছে। তিনি সতর্ক করে বলেন, যদি এই দলগুলো প্রকাশ্যভাবে বিক্ষোভ ও উত্তেজক কর্মসূচি নেয়, তাহলে তা সংঘর্ষে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে এবং নির্বাচনের পরিবেশ ব্যাহত হতে পারে।
ডা. সায়ন্থের মতে, জামায়াতের উদ্দেশ্য নির্বাচন পিছিয়ে দেয়া—কারণ যতদিন নির্বাচন পেছানো থাকবে, তারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে তাদের দখল ও সুবিধা ধরে রাখতে পারবে। তিনি বলেন, জামায়াত একটি কড়া ক্যাডারভিত্তিক দল হওয়ায় ভেতরে চেইন অব কমান্ড বজায় থাকে এবং সিদ্ধান্ত নেয়ার পর দল ভেতরে বিরোধ কমই দেখা যায়।
তবে তিনি যুক্তিপূর্ণভাবে বলছেন, এখন আর ফেব্রুয়ারির পরে নির্বাচনের পেছানোর সুযোগ নেই—কারণ অনেক দল প্রার্থী ঘোষণা করেছে এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়া বেশ দূর এগিয়েছে। ফলে জামায়াত যদি বিভিন্ন ইস্যু তুলে নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করে, তা সফল হবে না; বরঞ্চ মাঠ উত্তপ্ত হবে ও উত্তেজনা বাড়বে।
ডা. সায়ন্থ বিএনপি’কে ধৈর্য বজায় রাখার প্রশংসা করে বলেছেন, বিএনপি সংযম রেখে তাদের কৌশল চালিয়ে যাচ্ছে—এটিই সুষ্ঠু নির্বাচনের সম্ভাবনা রক্ষা করতে সহায়ক হবে। তবে রাজনৈতিক উত্তেজনা ও অপপ্রচারের কারণে সাধারণ জনগণের নিরাপত্তা ও শান্তি রক্ষায় বিশেষ নজর দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।