11/13/2025 আওয়ামীপন্থী ডিসি নিয়োগে প্রশাসনে অস্থিরতা’: মাঠপর্যায়ে আস্থাহীনতা ও বিভাজনের আশঙ্কা
odhikarpatra
১২ November ২০২৫ ২১:৫৮
ঢাকা, ১২ নভেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশে নির্বাচনকালীন প্রশাসনে ‘আওয়ামী ঘনিষ্ঠ’ কর্মকর্তাদের জেলা প্রশাসক (ডিসি) পদে নিয়োগকে ঘিরে নতুন করে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। কালের কণ্ঠের রিপোর্টে বলা হয়েছে, “আওয়ামীপন্থী ডিসি নিয়োগে প্রশাসনে ফের অস্থিরতা” — এই শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখ করা হয় যে, সম্প্রতি প্রকাশিত দুইটি প্রজ্ঞাপনে সরকার এমন অন্তত ১০ কর্মকর্তাকে পদায়ন করেছে, যাদের রাজনৈতিক ঘনিষ্ঠতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
ভোলার জেলা প্রশাসক আজাদ জাহানকে গাজীপুরের ডিসি হিসেবে বদলি করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু পরিবারের ছবি ও ভিডিও পোস্ট করা কর্মকর্তা আফসানা বিলকিসকে মাদারীপুরের ডিসি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আর নড়াইলের ডিসি শারমিন আক্তার জাহান, যিনি বঙ্গবন্ধুর মাজারে ফুল দিয়ে শপথ নিয়েছিলেন, তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ডিসি করা হয়েছে।
প্রশাসনে বিভাজনের আশঙ্কা
প্রশাসন বিশ্লেষকরা বলছেন, যদি রাজনৈতিক ঘনিষ্ঠ কর্মকর্তারা মাঠ প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকেন, তাহলে প্রশাসনে বিভাজন তৈরি হবে এবং জনগণের আস্থা নষ্ট হতে পারে। তাছাড়া অভিজ্ঞতা না থাকা তিনজন কর্মকর্তাকেও ডিসি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, যা নির্বাচনকালীন মাঠ প্রশাসনের জন্য বড় ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
মানবজমিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকার এখন “জুলাই সনদ বাস্তবায়ন” নিয়ে চাপে আছে, আর প্রথম আলো জানিয়েছে যে, সরকার আসন্ন গণভোটে চার থেকে পাঁচটি প্রশ্ন রাখার পরিকল্পনা করছে—যার মধ্যে থাকবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ও সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতি।
অন্যদিকে, নয়াদিগন্ত জানাচ্ছে—নির্বাচন কমিশন বৃহস্পতিবার থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসছে। এটি হবে বর্তমান ইসির দ্বিতীয় সংলাপ।
রাজনীতির মাঠে আবারও সহিংসতার ছায়া
যুগান্তর জানায়, রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে পাঁচটি যানবাহনে আগুন ও ককটেল হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে আবারও “আগুন সন্ত্রাসের” আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বিশ্লেষণ:
অন্তর্বর্তী সরকারের সময় প্রশাসনিক পদায়নে রাজনৈতিক প্রভাব বেড়ে যাওয়ায় নির্বাচনী নিরপেক্ষতা প্রশ্নের মুখে পড়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, “প্রশাসনে পক্ষপাতদুষ্ট নিয়োগ মানে নির্বাচনকে ঝুঁকিতে ফেলা।”
“আওয়ামী ঘনিষ্ঠ ডিসি নিয়োগে প্রশাসনে তোলপাড়! নির্বাচনকে ঘিরে নতুন বিতর্কে সরকার”
SEO মেটা ডিসক্রিপশন:
বাংলাদেশে নির্বাচনকালীন সময়ে ‘আওয়ামীপন্থী’ ডিসি নিয়োগকে ঘিরে প্রশাসনে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতে জনগণের আস্থা কমবে এবং প্রশাসনে বিভাজন তৈরি হবে।