11/17/2025 দণ্ড ঘোষণার পর ভারত বলল ‘বাংলাদেশের জনগণের পাশে আছি’ — কিন্তু শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠাতে অনিচ্ছুক, বাড়ছে কূটনৈতিক টানাপোড়েন
odhikarpatra
১৭ November ২০২৫ ১৯:০৪
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ঘোষিত দণ্ডাদেশকে “নোট করেছে” বলে জানিয়েছে এবং বলেছে—ভারত সব সময় বাংলাদেশের জনগণের সর্বোত্তম স্বার্থে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতায় দিল্লি বলছে, “বাংলাদেশের সব পক্ষের সঙ্গে গঠনমূলকভাবে কাজ করব।” তবে উল্লেখযোগ্যভাবে, ঢাকার তরফে শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালকে ফেরত পাঠানোর যে আহ্বান জানানো হয়েছে—ভারত সে বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি।
আল জাজিরার ঢাকা প্রতিনিধি তানভীর চৌধুরীর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,
ভারত শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে প্রত্যর্পণ করবে—এমনটা অত্যন্ত অপ্রত্যাশিত।
হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বলেছেন—
“মা কখনোই প্রত্যর্পিত হবেন না। ভারত তাঁর নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।”
এমন অবস্থান দুই দেশের মধ্যে চলমান কূটনৈতিক টানাপোড়েনকে আরও তীব্র করতে পারে। বিশেষ করে বাংলাদেশের নতুন সরকারের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক বর্তমানে আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় শীতল।
একসময়ের ঘনিষ্ঠ মিত্র এই দুই দেশের সম্পর্ক এখন পর্যবেক্ষকদের ভাষায় “অস্বস্তিকর ও অনিশ্চিত”।
যদি নয়া দিল্লি প্রত্যর্পণের বিষয়ে কঠোর অবস্থানে থাকে, তাহলে—
এসব ক্ষেত্রেও বড় ধরনের প্রভাব পড়তে পারে, বলছে আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক মহল।
বাংলাদেশের নতুন সরকার ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠনের চেষ্টা করছে। কিন্তু শেখ হাসিনার অবস্থান নিয়ে দুই দেশের অবস্থান যত ভিন্ন হবে, সংলাপ ও আস্থার ঘাটতি ততই বাড়বে।
পরিস্থিতি কোন দিকে যাবে তা নির্ভর করছে—
ভারত কীভাবে বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধের প্রতিক্রিয়া দেয় এবং
ঢাকা-দিল্লি কত দ্রুত রাজনৈতিক উত্তেজনা কমাতে পারে।