11/07/2025 ৫ বছরের শিশুর প্রান কেড়ে নিল ঘাতক মাহিন্দ্রা
Mahbubur Rohman Polash
২৭ June ২০১৮ ১৮:৫০
সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার বাসাইল ইউনিয়নের পাথরঘাটা গ্রামের শফিকুল ইসলামের শিশু মেয়ে নুসরাত ওরফে আসমা (০৫) ঘাতক মাহিন্দ্রায় চাপায় নিহত হয়েছে।
নিহত নুসরাত ওরফে আসমা স্কুলের গন্ডিও পেরোই নি এখনো।
শিশুটির মৃত্যুতে তার পরিবারের লোকজনসহ ওই এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ২৭ জুন বেলা ১১ টার সময় শিশুটি তার বাড়ী রোডের পাশে হওয়ায় বাড়ীর আঙ্গীনায় খেলা করছিল।
ঘাতক মাহিন্দ্রা বেপরোয়া ভাবে চালিয়ে এসে শিশু নুসরাত ওরফে আসমা (০৫) কে চাপা দিয়ে চলে যায়। পরে শিশুটি ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে মাহিন্দ্রা চালক মনির (৩৫)কে আটক করলে স্থানীয় ইউপি চেয়ার্যমান সাইফুল ইসলাম যুবরাজ তাকে ছাড়িয়ে রেখে মিমাংসার করে দেওয়ার আশ্বাস দেন।
শিশুটির মামা মোঃ শাহাবুদ্দিন জানান, এই এলাকার ইট ভাটার মালিকরা মাহিন্দ্রা দিয়ে ইট,মাটি আনা নেওয়া করে।
তারা বোপরোয়া ভাবে মাহিন্দ্রা চালিয়ে আমার ৫ বছরের ভাগনীকে আজকে মেরে ফেলল আমি মাহিন্দ্রা মালিক এবং ড্রাইভারের উপযুক্ত শাস্তি চাই।
এদিকে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম যুবরাজ মাহিন্দ্রা মালিকের পক্ষে মিমাংসার জন্য তদবির চালাচ্ছেন। এলাকার অসংখ্য লোকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এই অবৈধ মাহিন্দ্রা চলাচলের পক্ষে বাসাইল ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম যুবরাজ।
উপজেলা প্রশাসন থেকে শুরু করে উপজেলা আওয়ামীলীগের অনেক নেতাই তার এই অবৈধ মাহিন্দ্রা বন্ধের দাবী জানালেও সে কোন তোয়াক্তা না করেই নির্বিঘ্নে অবৈধ মাহিন্দ্রা চালাতে মাহিন্দ্রা মালিকদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে অবৈধ মাহিন্দ্রা চলাচলে সহযোগীতা করে আসছে।
এর বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করতে চাইলে তার উপরে নেমে আসে হামলা মামলা ও প্রান নাশের হুমকি। সে কারেণই নিরবেই সয়ে যাচ্ছেন এলাকার জনগণ।
ক্ষতি হচ্ছে কোটি টাকার সরকারী রাস্তার পিচ ঢালাইয়ের রাস্তা। ক্ষতি হচ্ছে এলাকার পরিবেশ। তারপরও মেনে নিতে হচ্ছে ওই প্রভাবশালী চেয়ারম্যান এর অত্যাচার। এর শেষ কোথায় প্রশ্ন তুলেছেন ওই এলাকার স্থানীয় জনগণ।
এব্যপারে বাসাইল ইউপি চেয়রাম্যান সাইফুল ইসলাম যুবরাজ জানান, আমার মাহিন্দ্রা নাই। আমি মাহিন্দ্রা কি ভাবে চালাবো।
আমি ইট খোলায় মাহিন্দ্রা দিয়ে মাটি নেই। বাচ্চাটির মৃত্যুর ঘটনায় মিমাংসা হয়েছে। এখানে আমিসহ উপস্থিত ছিল কেয়াইন ইউপি চেয়ারম্যান আশ্রাফ আলী এবং এই এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
মিমাংসা কি হয়েছে জানতে চাইলে তিনি জানান, মৃতু শিশুটির পরিবারকে কিছু টাকা পয়সা দেওয়া হবে। সে দ্বায়ীত্ব কেয়াইনের আজগর আলীর উপর।
সিরাজদিখান থানার এস আই আনিসুজ্জামান জানান, শিশুটির বাবা মাকে থানায় আসতে বলেছিলাম।
তারা থানায় আসে নাই কোন অভিযোও করে নাই। পরে ওই এলাকার স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ দ্বায়ীত্ব নিয়েছে।
বিষয়টি সিরাজদিখান থানার অফিসার ইনচার্জ ও সার্কেল স্যারকে অবগত করেছি।