11/10/2025 প্লাস্টিক রপ্তানিতে আয় বেড়েছে ৩০ শতাংশ
Mahbubur Rohman Polash
২৩ December ২০১৮ ১৯:০৪
দেশে ক্রমেই বাড়ছে প্লাস্টিক পণ্যের বহুমুখী ব্যবহার। অভ্যন্তরীণ বিপুল চাহিদা মিটিয়ে বর্তমানে এই খাতের রপ্তানিও দ্রুত সম্প্রসারণ হচ্ছে। চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম ৫ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) আন্তর্জাতিক বাজারে প্লাস্টিক পণ্য বিক্রয় থেকে রপ্তানি আয় হয়েছে ৪ কোটি ৮৭ লাখ মার্কিন ডলার। যা বিগত ২০১৭-১৮ অর্থবছরের একইসময়ের তুলনায় ৩০ শতাংশ বেশি।
চলতি অর্থবছরে প্লাস্টিক পণ্য থেকে দশ কোটি ডলারের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যমতে, প্লাস্টিক পণ্যের এক ট্রিলিয়ন ডলারের আন্তর্জাতিক বা বৈশ্বিক বাজার রয়েছে। এই বিশাল বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের চাহিদা রয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে রপ্তানি আয় দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে প্লাস্টিক পণ্য থেকে ৯ কোটি ৮৪ লাখ ডলারের রপ্তানি আয় হয়েছে। ওই বছরের প্রথম ৫ মাসে এই খাতের রপ্তানি আয় ছিল ৩ কোটি ৭৪ লাখ ডলার।
প্লাস্টিক পণ্যের পাশাপাশি চলতি অর্থবছরের প্রথম ৫ মাসে এক কোটি ২১ লাখ ডলারের প্লাস্টিক বর্জ্য রপ্তানি হয়েছে।
যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ফ্রান্স, পোল্যান্ড, স্পেন, কানাডাসহ বিশ্বের ২৩ দেশে সরাসরি যাচ্ছে বাংলাদেশের প্লাস্টিক পণ্য।গৃহসজ্জা থেকে অটোমোবাইল, চিকিৎসার সরঞ্জাম কিংবা রপ্তানিমুখী শিল্পের আনুষঙ্গিক সব পণ্য প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি হচ্ছে। নজর কাড়ছে প্রযুক্তির সমন্বয়ে তৈরি প্লাস্টিকের বাহারি খেলনাও।
প্লাস্টিক খাতের সংগঠন বিপিজিএমইএ’র তথ্যমতে, বর্তমানে দেশে ছোট-বড় মিলে ৫ হাজার কারখানায় প্রায় ১৫ ক্যাটাগরিতে পণ্য উৎপাদিত হয়। এর মধ্যে পোশাক খাতের জন্য পলিব্যাগ, হ্যাঙ্গার, প্লাস্টিক ক্লিপ, বোতাম, খেলনা সামগ্রীর মধ্যে পুতুল, বল, গৃহে ব্যবহারের জন্য চেয়ার, টেবিল, ডাইনিং টেবিল, বিভিন্ন ধরনের রেক, ঝুড়ি, বাথটাব, জগ, মগ, ঝুড়ি; অফিসে ব্যবহারের জন্য পেপারওয়েট, স্কেল, টেবিল, বলপেন, ফাইল কভার অন্যতম। কৃষি খাতের জন্য পাইপ, সাইকেলের যন্ত্রাংশের মধ্যে বাম্পার, হাতলের কভার, ব্যাক লাইট, স্পোক লাইট, মাছ ও ডিম রাখার ঝুড়ি, ভিডিও ও অডিও ক্যাসেট, কম্পিউটারের উপকরণসহ বিভিন্ন ধরনের প্লাস্টিক সামগ্রী তৈরি হচ্ছে।