ঢাকা: স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, জনগণের বাসযোগ্য নিরাপদ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সরকার বিভিন্ন রকম পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।

সোমবার সচিবালয়ে নিজ কক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী ও ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি মিয়া সেপ্পোর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি তাদের উদ্দেশে এ সব কথা বলেন।

প্রতিনিধিদলে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন- বাংলাদেশে জাতিসংঘের সমন্বয় বিশ্লেষক রুমানা খান, খাদ্য ও কৃষি সংস্থা ফাও -এর প্রতিনিধি রবার্ট সিম্পসন, ইউনিসেফের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাইরুজ মাউজি প্রমুখ।

তাজুল ইসলাম বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ভবন নির্মাণ, ফায়ার সেফটি, নিরাপদ সড়ক প্রভৃতি ক্ষেত্রে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে ও বিভিন্ন রকম পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।

সাক্ষাতের সময় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা জাতিসংঘ ও এর বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ও সহযোগিতার কথা তুলে ধরেন। তারা শিক্ষা, স্বাস্থ্য, স্যানিটেশনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন। স্থানীয় সরকারকে আরো বিকেন্দ্রীকরণ ও নিজস্ব উৎস থেকে আয় সংগ্রহ করার ব্যাপারে তাদের সঙ্গে মন্ত্রী একমত পোষণ করেন।

মন্ত্রী বলেন, স্থানীয় সরকারের বিকেন্দ্রীকরণ ও শক্তিশালীকরণ নিশ্চিত না করতে পারলে প্রবৃদ্ধি ব্যাহত হবে।

প্রতিনিধিদল জানান, বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় ৩০ শতাংশ লোক শহরে বাস করে এবং আগামীতে প্রায় ৫০ শতাংশ লোক শহরে বাস করবে। ফলে সেবাখাতসমূহ ব্যয়বহুল ও সমস্যাবহুল হয়ে পড়বে। এ সমস্যা মোকাবিলায় তারা সরকারের সঙ্গে আরো কিছু প্রকল্প শুরু করার প্রস্তাব করেন।

মন্ত্রী প্রতিনিধিদলকে অবহিত করেন, সরকার সাম্প্রতিক সময়ে ভবন নির্মাণ, ফায়ার সেফটি, নিরাপদ সড়ক প্রভৃতি ক্ষেত্রে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে ও বিভিন্ন রকম পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। মন্ত্রী জাতিসংঘ ও এর অঙ্গ সংগঠনসমূহের অব্যাহত সহযোগিতার প্রশংসা করেন এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার ২, ৩ ও ৬ নং লক্ষ্য অর্জনে তাদের আরো ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।

মন্ত্রী ঢাকা উত্তর, ঢাকা দক্ষিণ, গাজীপুর ও কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ফুড চেঞ্জ সিস্টেমস অ্যান্ড নিউট্রিশন নিয়ে প্রকল্প শুরু করায় তাদের ধন্যবাদ জানান এবং জাতিসংঘের সঙ্গে বাংলাদেশের বিদ্যমান সহযোগিতা ও সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন।