ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ আয়োজিত অসহায় দুঃস্থদের মাঝে হুইলচেয়ার, শাড়ী-লুঙ্গি বিতরণ, ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প এবং রক্তদান কর্মসূচি অনুষ্ঠানে শেখ পরশ বলেন

আমার দেখা সবচেয়ে মানবিক নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা

odhikarpatra | প্রকাশিত: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৯:২৯

odhikarpatra
প্রকাশিত: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৯:২৯

 

বৃহস্পতিবার দুপুরে গুলিস্থানে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ আয়োজিত আলোচনা সভা ও অসহায় দুঃস্থদের মাঝে হুইলচেয়ার, শাড়ী-লুঙ্গি বিতরণ, ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প এবং রক্তদান কর্মসূচি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন,বঙ্গবন্ধুর সপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মানে কাঙ্খিত পথে এগিয়ে চলছে তারই সুযোগ্য কন্যা আমাদের জননেত্রি শেখ হাসিনার হাত ধরে । সমাজের অবহেলিত এবং নিগৃহীত মানুষের জন্যই সবচেয়ে বেশি চিন্তা করেন শেখ হাসিনা। তিনি বেদেদের আশ্রয়ের ব্যাবস্থা করেছেন অন্য কেউ যা করেনি, হিজরাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন এক কথায় তিনি একজন আপাদমস্তক মানবিক এবং মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ব্যক্তি। শেখ পরশ আরো বলেন বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার শুধু পিতা হত্যার বা পরিবারের স্বজনদের হত্যার বিচারই না এটা ছিল আইনের শাসন গায়েব করার এক উৎকর্ষ উদাহরণ।  এ বিচার যদি না হতো তবে পৃথিবীতে আমরা অসভ্য জাতি হিসেবে বিবেচিত হতাম জননেত্রী শেখ হাসিনা শোষিতদের নেত্রী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন।

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিন উপলক্ষে শহীদ (ক্যাপ্টেন) এম. মনসুর আলী জাতীয় হ্যান্ডবল স্টেডিয়ামে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানার সভাপতিত্বে সভার পরিচালনা করেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা।

ফজলে শামস্ পরশ আরও বলেন, ৭৫-পরবর্তী বাংলাদেশ নির্বাসনে ছিল। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা উধাও হয়ে গিয়েছিল। কাজেই শেখ হাসিনার ফেরা মানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ ফেরা। কিন্তু কেমন ছিল শেখ হাসিনার দেশে ফেরা? সবাই যখন দেশে ফিরলেন, সেটা এমন এক ফিরে আসা যার কেউ নাই।
তিনি দেশে ফিরেছিলেন স্বজন হারানো শ্মশানে। এদেশের জনগণ আর আওয়ামী লীগের নেত্রীবৃন্দ ছাড়া শেখ হাসিনার আর কেউ ছিল না। তাই তিনি এসেছিলেন বাংলার জনগণের কাছে, যেই জনগণকে তার পিতা জীবন দিয়ে ভালোবেসেছেন, সেই জনগণের কাছে। শেখ হাসিনা যদি হাল না ধরত ’৮১ সালে তাহলে এদেশে মিলিটারি শাসন যুগ যুগ ধরে থাকতো।


বিশেষ অতিথির বক্তব্যে যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব খন্দকার মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে যেভাবে ভিক্ষুকের দেশ থেকে মর্যাদাশীল দেশে পরিণত করেছেন। যেভাবে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিএনপি-জামাতের ষড়যন্ত্র, বিদেশী কুটনৈতিকদের ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে দেশটিকে তিলে তিলে বিশ্ব দরবারে মাথা উচু করে দাঁড় করিয়েছেন। তার জন্য আপনারা দোয়া করবেন। যে মানুষটি বাবা-মা, ভাই, আত্মীয়-পরিজন হারিয়ে তার পিতার অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করতে আপনাদের কাছে ছুটে এসছিলেন। যে মানুষটি দেশ ও দেশের মানুষের নিরাপত্তার চিন্তায় সার্বক্ষণিক কর্মে ব্যস্ত, সেই মহান রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার জন্মদিনে বলতে চাই, বিএনপি-জামাত আমার প্রিয়নেত্রী ও এদেশের মানুষকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে।
তারা দেশের টাকা পাচার করে লবিষ্ট নিয়োগ করছে। এই বিএনপি-জামাতকে প্রতিহত করতে হবে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ডা. খালেদ শওকত আলী, রফিকুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান পবন, মোয়াজ্জেম হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মৃনাল কান্তি জোদ্দার, তাজউদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পাল, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. হেলাল উদ্দিন, সোহেল পারভেজ, আবু মুনির মো. শহিদুল হক চৌধুরী রাসেল, মশিউর রহমান চপল, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন পাভেল, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. ফরিদ রায়হান, জনশক্তি ও কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক শাহীন মালুম, মহিলা সম্পাদক অ্যাড. মুক্তা আক্তার, উপ-দপ্তর সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা সম্পাদক ডা. মাহফুজার রহমান উজ্জ্বল, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, উপ-ক্রীড়া সম্পাদক আব্দুর রহমান, উপ-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া শামীম, উপ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হরে কৃষ্ণা বৈদ্য, সহ-সম্পাদক আবির মাহমুদ ইমরান, গোলাম ফেরদৌস ইব্রাহিম, আব্দুর রহমান জীবন, আলমগীর হোসেন শাহ জয়, হিমেলুর রহমান হিমেল, নির্বাহী সদস্য রাজু আহমেদ ভিপি মিরান, ইঞ্জি. মুক্তার হোসেন চৌধুরী কামাল, মানিক লাল ঘোষ, এ বি এম আরিফ হোসেন, বজলুর করীম মীর, ডা. আওরঙ্গজেব আরু, কেন্দ্রীয় সদস্য সৌরিং আরেং সেং, ডা. মফিজুর রহমান জুম্মা, নাজমুল হাসান, কাইফ ইসলাম, রিপন শেখ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি আনোয়ার ইকবাল সান্টু, নাজমুল হোসেন টুটুল, কামাল উদ্দিন খান, দ্বীন মোহাম্মদ খোকা, মুহামমদ মাহবুবুর রহমান পলাশ, মুরসালিন আহমেদ, যুগ্ম-সম্পাদক জাফর আহমেদ রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বকুল,গাজী সারোয়ার হোসেন বাবু, মাকসুদুর রহমান, প্রচার সম্পাদক আরমান হক বাবু, দপ্তর সম্পাদক এমদাদুল হক এমদাদ, অর্থ সম্পাদক ফিরোজ উদ্দিন সায়মন, শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও পাঠাগার সম্পাদক এবাদুল হক সবুজ, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা সম্পাদক সৈয়দ মশিউর রহমান শুভ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক গোফরান গাজী, ধর্ম সম্পাদক আবুল কাশেম খা, উপ-দপ্তর সম্পাদক খন্দকার আরিফ-উজ-জামান।আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ডসমূহের নেতৃবৃন্দ।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: