ঢাকা | শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রধানমন্ত্রীর মহাসমাবেশে পরিণত পুরো রাজশাহী শহর

odhikarpatra | প্রকাশিত: ৩০ জানুয়ারী ২০২৩ ০৮:৩৪

odhikarpatra
প্রকাশিত: ৩০ জানুয়ারী ২০২৩ ০৮:৩৪

রাজশাহী, ২৯ জানুয়ারি, ২০২৩ : মূল সভাস্থল ছাড়াও, গোটা শহরজুড়ে সাধারণ মানুষ  লাউডস্পিকারে তার ভাষণ শোনায়, পুরো রাজশাহী শহরটাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় পরিণত হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী আজ ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজশাহী মহানগর ও জেলা শাখা আয়োজিত এক বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণ দেন।

সকাল থেকেই আওয়ামী লীগ ও এর বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের শহরের সমস্ত সড়ক, রাস্তা ও অলিগলিতে ব্যানার-পোস্টার নিয়ে মিছিল সহকারে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে স্লোাগান দিতে দিতে সভাস্থলের দিকে হেঁটে আসতে দেখা যায়। নগরীর বিভিন্ন এলাকা এবং রাজশাহী বিভাগের আওতাধীন আটটি জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আওয়ামী লীগ কর্মী সমর্থকদের পাশাপাশি, উৎসুক সাধারণ নারী-পুরূষের ঢল ছিল অনুষ্ঠানস্থল অভিমুখী। প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার মূল্যবান ভাষণ শোনার জন্য মাদ্রাসা ময়দানে সমবেতদের ধৈর্য সহকারে ঘণ্টা কয়েক অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
রাজশাহীতে রাস্তার ধারের দেয়ালে দেয়ালে অসংখ্য ব্যানার, পোস্টার, প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন ও চিত্রকর্মে মহানগরী হয়ে ওঠে বর্ণিল ও শোভাময়। আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানিয়ে সভাস্থলমুখী  রাস্তা ও ফুটপাতের দুই পাশে বড় ও মাঝারি আকারের ব্যানার ও পোস্টার লাগান। জনসভায় ভাষণ দেওয়া ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী প্রায় ১,৩১৬.৯৭ কোটি টাকা ব্যয়ে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন (আরসিসি)সহ বিভিন্ন সংস্থার বাস্তবায়নাধীন ২৫টি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। প্রধানমন্ত্রী আনুমানিক প্রায় ৩৭৬.২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে আরও ছয়টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও আরসিসি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, জনসাধারণ যাতে সাধারণভাবে সভাস্থল ও সংলগ্ন ঈদগাহ মাঠ ছাড়াও প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণ শোনার সুযোগ পায়, সেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তিনি  বলেন, শহরের ১৩টি পয়েন্টে মোটর গাড়ির মাধ্যমে জনগণের মধ্যে ১.৫০ লাখ বোতলজাত পানি বিতরণ করা হয় এবং নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক নিযুক্ত করা হয়। মেয়র লিটন বলেন, জনসভাকে সার্বিকভাবে সফল করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি) জনসভা সফল করতে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করে। সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। আরএমপি কমিশনার আনিসুর রহমান বাসসকে জানান, নগরীতে ২৭ জানুয়ারি সকাল ৬টা থেকে ২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি সকাল ৬টা পর্যন্ত সব ধরনের আগেয়াস্ত্র, বিস্ফোরক ও পটকা বহন, ব্যবহার, রাখা ও বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়। একই সময়ে পূর্বানুমতি ছাড়া ড্রোন উড্ডয়নও নিষিদ্ধ করা হয়। দেশি-বিদেশি মদ, স্পিরিট ও অ্যালকোহলসহ যেকোনো ধরনের মাদকদ্রব্যের বিক্রি ও কেনাকাটাও নিষিদ্ধ করা হয়। পানীয় সামগ্রীর দোকান এবং বারগুলোও এ সময় ব্যবসা বন্ধ রাখতে বলা হয়। তিনি অবশ্য উল্লেখ করেন যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং অন্যান্য নিরাপত্তা কর্মীদের আগ্নেয়াস্ত্র বিধিনিষেধের আওতামুক্ত। কমিশনার আনিসুর রহমান জানান, জনসভাকে কেন্দ্র করে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে তারা এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। জনসভায় এ অঞ্চলের দূর-দূরান্ত থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষ যোগ দেয়।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: