04/20/2025 ডিএসসিসি : ওয়ার্ড ৩৩
Mahbubur Rohman Polash
২৬ জানুয়ারী ২০২০ ০৯:০০
অসম্পন্ন কাজ সম্পন্ন করে মডেল ওয়ার্ড উপহার দেব: আউয়াল হোসেন
বিজয়ী হলে ওয়ার্ডটিকে অত্যাধুনিক ডিজিটাল ওয়ার্ড হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী হাজি মো. আউয়াল হোসেন। বিদায়ী মেয়াদে এ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর ছিলেন তিনি। দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হলে অসম্পন্ন কাজগুলো সম্পন্ন করার মধ্য দিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। এজন্য তার নির্বাচনী প্রতীক মিষ্টি কুমড়ায় ভোট প্রার্থনা করছেন হাজি মো. আউয়াল।
ডিএসসিসির বংশাল থানাধীন ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে ভোটার ৪৪ হাজার হলেও এলাকায় চার লক্ষাধিক মানুষের বাস। ওয়ার্ডে নিমতলী, বংশাল রোড, আগাসাদেক রোড, আগামাসিহ লেন, কায়েৎটুলি, সিক্কাটুলী, আবদুল হাদি লেন, আবুল হাসনাত রোড, নাজিরা বাজার, আলী নেকী দেউড়ি, চানখাঁরপুল লেন, সাত রওজাসহ ১১টি পাড়া-মহল্লা রয়েছে।
কাউন্সিলর পদে দ্বিতীয়বার প্রার্থী হওয়া মো. আউয়াল সমকালকে জানালেন তার পরিকল্পনার কথা। তিনি বলেন, এলাকাবাসী গত নির্বাচনে আমাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করেছেন। পাঁচ বছর সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছি। ব্যাপক উন্নয়নের কারণে এলাকাবাসী ফের আমাকে চাচ্ছেন। তাই ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে জনগণের সেবা করার জন্য নির্বাচন করছি। তিনি জানান, ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন। রায় পেলে ভোটারদের বাকি চাওয়া পূরণে সর্বাত্মক চেষ্টা চালাবেন। মানুষের নিরাপত্তায় পুরো ওয়ার্ডকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনবেন। এটা হবে একটি সবুজ, পরিচ্ছন্ন ও মশামুক্ত ওয়ার্ড।
মো. আউয়াল তার উন্নয়নের বিবরণ তুলে ধরে বলেন, গত পাঁচ বছরে এলাকায় পঞ্চায়েত কার্যক্রম ও উঠান বৈঠকের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে পেরেছি। ওয়ার্ডের তিনটি মসজিদের জায়গা দখলমুক্ত করেছি। সিক্কাটুলীতে পুকুরপাড় ও খালেক সরদার পার্কে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ ছিল, সেখানকার আবর্জনা দূর করে আধুনিক ডাম্পিং মেশিন স্থাপন করেছি। মোহাম্মদিয়া গলিতে নিজস্ব অর্থায়নে দুটি ডাস্টবিন, দুটি টিউবওয়েল ও ১২টি ল্যাম্পপোস্ট স্থাপন করেছি। এলাকার বিভিন্ন স্থানে ড্রেনেজ ব্যবস্থা সংস্কার ও জলাবদ্ধতা নিরসন করা সম্ভব হয়েছে। এ ছাড়া এলাকায় যে কোনো দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য স্বেচ্ছাসেবক টিম গঠন, রাস্তা মেরামত-প্রশস্ত, পাবলিক টয়লেট স্থাপন, শিশুপার্ক নির্মাণ, খেলার মাঠ আধুনিকায়ন, গ্যাস সরবরাহের পাইপলাইন স্থাপন এবং মশা নিধনে ওষুধ প্রয়োগ করা হয়েছে। হরিজন সম্প্রদায়ের জায়গা দখলমুক্ত করে তাদের আবাসন সমস্যা সমাধানে সেখানে ছয়তলা ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া সিটি কলোনিবাসীর নিরাপত্তায় সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।
জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী আওয়াল বলেন, ওয়ার্ডের অলিগলিতে আমার শৈশব-যৌবন অতিবাহিত করেছি। এলাকার ভোটাররাও আমার সঙ্গে রয়েছেন। আবার নির্বাচিত হলে বাকি কাজ সম্পন্ন করে একটি মডেল ওয়ার্ড উপহার দেব। ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডকে একটি সত্যিকারের উন্নয়নের মডেল ওয়ার্ড হিসেবে গড়ার স্বপ্ন দেখি আমি।