04/21/2025 নিউ নেশন পত্রিকায় ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নে জালিয়াতি তদন্তে ডিএফপির নির্দেশ
gazi anwar
১১ ডিসেম্বর ২০২০ ০৪:০৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
নিউ নেশন পত্রিকায় মিথ্যা ঘোষণা, জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে নেয়া ৮ম ওয়েজবোর্ড রোয়েদাদ অনুযায়ী প্রদত্ত বিজ্ঞাপন রেটকার্ড বাতিল, ক্রোড়পত্র বন্ধ রাখা, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী মন্তব্য প্রতিবেদন প্রকাশসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের এক সিদ্ধান্ত নিয়েছে চলচিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর (ডিএফপি)।
গতকাল বুধবার ডিএফপিতে অনুষ্ঠিত ৯ম সংবাদপত্র মুজুরীবোর্ড রোয়েদাদ বাস্তবায়ন সংক্রান্ত মনিটরিং টিম সভায় এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। ব্যরিস্টার মইনুল হোসেনের মালিকানাধীন ইংরেজি দৈনিক নিউ নেশন পত্রিকায় ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নে জালিয়াতি ও প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে কেন সরকারি সুযোগ-সুবিধা নেয়া হয়েছে- সে বিষয়ে ৭দিনের মধ্যে জবাব দেয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ডিএফপির মহাপরিচালক
স. ম. গোলাম কিবরিয়া, তথ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (প্রেস), তথ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান তথ্য কর্মকর্তা, চলচিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (বিজ্ঞাপন), বিএফইউজের সভাপতি মোল্লা জালাল, বিএফইউজের মহাসচিব শাবান মাহমুদ, বাংলাদেশ সংবাদপত্র কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি মো. মতিউর রহমান, বাংলাদেশ ফেডারেল ইউনিয়ন অব নিউজ পেপার প্রেস ওয়ার্কার্স সভাপতি মো. আলমগীর হোসেন খান এবং বাংলাদেশ আঞ্চলিক সংবাদপত্র পরিষদের (বিএএসপি) মহাসচিব জাহাঙ্গীর হোসেন মনজু।
উল্লেখ্য, নিউ নেশন পত্রিকায় সরকার ঘোষিত ৮ম ওয়েজবোর্ড রোয়েদাদ বাস্তবায়ন কাগজে থাকলে বাস্তবে কোনও সাংবাদিক-কর্মচারী ওয়েজ বোর্ড রোয়েদাদ অনুযায়ী বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না। এ বিষয়ে গত ০৭-০১-২০২০ ইং তারিখে নিউ নেশন ইউনিটের এক সভায় সর্বসম্মতভাবে ৮ম ওয়েজ বোর্ড রোয়েদাদ অবিলম্বে বাস্তবায়নের জন্য প্রকাশক বরাবর একটি চিঠি দেয়া হলে বারবার আশ্বাস দিয়েও কার্যকরী কোনও পদক্ষেপ নেয়নি।
ওয়েজবোর্ড নিয়ে আন্দোলন চলাকালীনসময়ে গত ৮ মার্চ, ২০২০ইং থেকে বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি শুরু হলে কর্তৃপক্ষ এপ্রিল মাস থেকে করোনার অযুহাত প্রদর্শন করে আন্দোলনরত সাংবাদিকদের দমিয়ে রাখতে সম্পাদকসহ ১১জন সাংবাদিককে কাজ থেকে বিরত রেখে বেতন-ভাতা বন্ধ করে দেয়।