হোয়াইট হাউসে ডেকে নিয়ে গিয়ে সফররত রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও রুশ রাষ্ট্রদূতকে গোপন তথ্য দিয়ে তিনি ঠিক কাজই করেছেন বলে জানালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। খবর এএফপির।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ওভাল অফিসে রুশ কূটনীতিকদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ গোপন তথ্য প্রকাশ করার অভিযোগ উঠার পর ট্রাম্প টুইটে এ কথা লিখলেন।
তার বক্তব্য, জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট অফ ইরাক অ্যান্ড সিরিয়া (আইসিস) আর সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রাশিয়াকে সাহায্য করতেই তিনি ওই সব জানিয়েছেন মস্কোকে।
মঙ্গলবার তাঁর টুইটে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প লিখেছেন, ‘মাকিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে সন্ত্রাসবাদ ও বিমানযাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে আমি রাশিয়াকে যে সব তথ্য দিয়েছি, তা আমি দিতেই পারি। ওই সব তথ্য শেয়ার করার সম্পূর্ণ অধিকার আমার রয়েছে। কাজটা করেছি আমি মানবতার খাতিরে। আমি এটাও চাই যে, সন্ত্রাসবাদ এবং আইসিসের বিরুদ্ধে রাশিয়া আরও বেশি করে লড়াই করুক। তার জন্য যে সব তথ্য প্রয়োজন, আমি সেই সব তথ্যই দিয়েছি রাশিয়াকে।’
এর আগে ওয়াশিংটন পোস্টের এক খবরে বলা হয়, ট্রাম্প গত সপ্তাহে ওভাল অফিসে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রী সার্গেই লাভরভ এবং ওয়াশিংটনে নিযুক্ত মস্কোর দূত সের্গেই কিসলিয়াকের সঙ্গে বৈঠককালে ইসলামিক স্টেট গ্রুপ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ গোপন তথ্য প্রকাশ করে দেন।
কিন্তু জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এইচআর ম্যাকমাস্টার প্রেসিডেন্টের ‘গোয়েন্দা তথ্য বা মেথড’ প্রকাশ করার অভিযোগ প্রত্যাখান করেন। তবে স্বীকার করেন, ওই বৈঠকে ট্রাম্প ও লাভরভ দু’দেশের বিরুদ্ধে অভিন্ন হুমকির বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। অভিন্ন এসব হুমকির মধ্যে দু’দেশের বেসামরিক বিমান পরিবহনও রয়েছে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে দি পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈঠকে ট্রাম্প ইসলামিক স্টেট গ্রুপের(আইএস) সন্ত্রাসী হামলার হুমকি সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন তথ্য প্রকাশ করেন। এসব তথ্যের মধ্যে বিমানে ল্যাপটপ কম্পিউটার ব্যবহার করে হামলার হুমকির তথ্যও রয়েছে।
আর এসব হুমকির প্রেক্ষাপটে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা যাত্রীদের বিমানে ল্যাপটপ ব্যবহারে ট্রাম্প প্রশাসন নিষেধাজ্ঞা জারি করে।