আলুর অঘোষিত রাজধানী হিসেবে পরিচিত ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলা মুন্সিগঞ্জ , দেশের বৃহত্তম আলু উৎপাদনকারী জেলা হিসেবে পরিচিত এই জেলা । মুন্সীগঞ্জের প্রধান অর্থকরী ফসল আলু। অন্যান্য বছর এ সময় হাটবাজার গুলোতে আগাম আলু উঠে। কিন্তু এবার জমি থেকে পানি নামতে দেরি হওয়ায় আগাম আলু চাষ ব্যাহত হয়। আলু উত্তোলন শুরু হবে মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহের দিকে বলে আসা করছেন কৃষকরা। ইতোমধ্যে বাজারে আগাম জাতের আলু পাওয়া যাচ্ছে।
সম্প্রতি সরেজমিনে জেলার সিরাজদিখান উপজেলায় গিয়ে দেখা গেল, আলু ক্ষেত পরিচর্যায় এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন আলু চাষীরা। ক্ষেতে ক্ষেতে এখন আলুর সতেজ গাছ। কৃষকরা আলুর ক্ষেত পরিচর্যায় নালার মাটি কেটে ঠিক করে আলু গাছের গোড়ায় দিচ্ছেন। আলু ক্ষেতে সার দিচেছন এবং শীতের কারণে ছত্রাকের আক্রমণ থেকে আলুগাছ রক্ষায় কীটনাশক স্প্রে করছেন,পানি ছিটাচ্ছেন।
চলতি মৌসুমে জেলার ছয় উপজেলায় ৩৮ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে ১১ লক্ষ ৭৪ হাজার ২৫০ মেট্রিক টন আলু উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় কম। বিগত বছরে ১৩ লক্ষ ২৭ হাজার ২৭ মেট্রিক টন আলু উৎপাদন হয়েছিল। জানান জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক মোঃ শাহ্ আলম। তিনি বলেন এবছর পর পর ৪টি বন্যার প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে, যার কারণে জমি থেকে পানি নামতে দেরি হওয়ায় আলু রোপণে বিলম্ব হয়েছে। নভেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় আলু রোপণের উৎকৃষ্ট সময়। এর আগে বা পরে আলু রোপণ করলে ফলন কম হয়।
উপজেলার মালখানগর এলাকার আলু চাষী কুরবান মৃধা জানায়, প্রতিবছর আলু আবাদ করি। পরপর কয়েক বছর পরতে হয়েছে লোকশানে,এ বছর আলুর বাজার ভালো ছিলো তাই লাভের মুখ দেখেছিলাম তবে এখন আবার দুর্শ্চিন্তায় আছি আবাদি খচর বেড়ে যাওয়ার কারণে, তবে ফলন ভালো হলে লাভের মুখ দেখবো। উপজেলার রশুনিয়া ইউনিয়নে আলু চাষী রাহায়ান মিল্কী যানান, আলুর ভালো ফলন নির্ভর করে আবহাওয়ার উপর, শীত কালে প্রচন্ড শীত থাকতে হবে পাশাপাশি রোদও থাকতে হবে। কুয়াশা থাকলে আলু গাছে নানা রকম রোগ দেখা দেয়, তাতে আলুর ফলন কমে যায়, তবে মনে হচ্ছে এবছর ভালো ফলন হবে, আর ফলন ভালো হলে লাভও ভালো হবে।
প্রধান সম্পাদক: যোগাযোগ: হাশেম ম্যানসন, লেভেল-১, ৪৮-কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, তেজগাঁও, ঢাকা-১২১৫ মোবাইল: +৮৮ ০১৬৮২ ৫৬ ১০ ২৮, +৮৮ ০১৬১১ ০২ ৯৯ ৩৩ ইমেইল: