04/20/2025 রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা প্রদানের আহবান
amaderodhikarpatra@gmail.com
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০০:২০
ঢাকা ঃ ২৭ মাঘ (১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২১) ঃ
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, এমপি বলেছেন, দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র এবং বাণিজ্যিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। দক্ষিণ কোরিয়ার অনেক ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে কাজ করছে। দক্ষিণ কোরিয়ার ানেক পণ্যের বিপুল চাহিদা রয়েছে বাংলাদেশে। এখানে উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার, এ বিনিয়োগ আরও বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। এতে করে উভয়দেশ লাভবান হবে। বাংলাদেশের উন্নয়ন কার্যক্রমেরও অংশীদার দক্ষিণ কোরিয়া। তৈরী পোশাক, ইলেক্ট্রনিক পণ্য উৎপাদনের পাশাপাশি নির্মাণ কাজেও দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর প্রচুর সুযোগ রয়েছে। উভয়দেশ উদ্যোগ নিলে এ সুযোগকে কাজে লাগানো সম্ভব। দক্ষিণ কোরিয়া উন্নয়নশীল দেশগুলোকে শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা দিচ্ছে। বাংলাদেশও উন্নয়নশীল দেশে পরিনত হতে যাচ্ছে। দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশকে শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা প্রদান করলে রপ্তানি বাড়বে এবং উভয় দেশের বাণিজ্য ব্যবধান কমবে। বাংলাদেশ দক্ষিণ কোরিয়ায় রপ্তানি বৃদ্ধির চেষ্টা চালাচ্ছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী আজ (১০ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সচিবালয়ে তাঁর অফিস কক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জাংকিউন (খবব ঔধহমশবঁহ)-এর সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এ সব কথা বলেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ দক্ষিণ কোরিয়ার বন্ধু রাষ্ট্র এবং ব্যবসায়ীক বড় অংশীদার। বাংলাদেশে দক্ষিণ কোরিয়ার অনেক ব্যবসা ও বিনিয়োগ রয়েছে। বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকান্ডেও অবদান রাখছে দক্ষিণ কোরিয়া। বাংলাদেশে ব্যবসা ও বিনিয়োগ বাড়ানোর প্রচুর সুযোগ রয়েছে, এসুযোগকে কাজে লাগাতে চায় দক্ষিণ কোরিয়া। দক্ষিণ কোরিয়া চট্রগ্রামে কেইপিজেড বাস্তবায়ন করছে, এখানে বড় ধরনের বিনিয়োগ রয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য কাজ করছে। বাংলাদেশের কোভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবেলার প্রশংসা করে রাষ্ট্রদূত বলেন, পরিস্থিতি মোবেলায় দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশের পাশে রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে বাংলাদেশ দক্ষিণ কোরিয়ায় ৩৭০.৬৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে, একই সময়ে আমদানি করেছে ১৩১৫.২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। আশা করা হচ্ছে আগামীতে উভয় দেশের বাণিজ্য আরও বাড়বে।
এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব(রপ্তানি) মো. হাফিজুর রহমান এবং ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক(অতিরিক্ত সচিব) মো. হাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
(মো. আব্দুল লতিফ বকসী )
সিনিয়র তথ্য অফিসার ও জনসংযোগ কর্মকর্তা
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়
মোবা. ০১৭১১-১৬৫ ৮৮০,