04/20/2025 সিংগাইরে পচা আলু বদলে ভালো আলু দিতে গিয়ে রোসানলে ইউএনও
Biplob
১২ জুন ২০২১ ১৫:২৬
বিপ্লব সিংগাইর: মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় সারাদেশে করনা কালীন সময়ে অসহায় ও হতদরিদ্র মানুষের মাঝে দ্রুততম সময়ে মধ্যে ৩৩৩ তে ফোন করে খাদ্য সহায়তাপ্রার্থীদের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন জেলা উপজেলা প্রশাসন।
এরই ধারাবাহিকতায় মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় রমজান মাসে ৩৩৩ নাম্বারে ফোন দিয়ে জরুরী খাদ্য সহায়তা প্রার্থীদের সহযোগিতার জন্য বরাদ্দ আসে এবং নির্দেশনা দেয়া হয় ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে খাদ্য সহায়তা প্রার্থীর কাছে খাদ্য পৌছানোর।
সে নির্দেশনা অনুযায়ী সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা , উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি,উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা , উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, উপজেলা অফিসের স্টাফ এবং উপজেলা চেয়ারম্যান কার্যালয়ে একজন স্টাফের সমন্বয়ে গঠিত টিম আলোচনা করে সহযোগিতা প্রার্থীদের জন্য , ১০ কেজি চাল , ২ কেজি ডাল , ৫ কেজি আলু , ১ কেজি চিনি , ১ কেজি লবণ , ১ প্যাকেট লাচ্ছা সেমাই ,কুলসন সেমাই ১ প্যাকেট করে বিতরণের উদ্দ্যেশে ক্রয় করা হয়।
২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে খাদ্য প্রার্থীদের কাছে খাদ্য সহায়তা পৌছানোর জন্য মজুদ করা হয় ১০০ প্যাকেট । প্রায় প্রতিদিনই সিংগাইর উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে বিতরণ করা হয় এসব খাদ্য সহায়তা।
চলমান এই প্রক্রিয়ার একদিনে সিংগাইর উপজেলা প্রশাসনের নিকট খাদ্য সহায়তার জন্য ৫৩ জন খাদ্য সহায়তা প্রার্থনা করেন ৩৩৩ তে ফোন করে । হঠাৎ করেই এতো ফোন পেয়ে উপজেলা প্রশাসন তাৎক্ষণিক ভাবে ১০০ টি খাদ্য সহায়তার জন্য প্যাকেট প্রস্তুত করেন এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা , উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে খাদ্য সহায়তার জন্য ফোন করা ব্যাক্তির বাড়ি বাড়ি গিয়ে যাচাই করেন । খাদ্য সহায়তা চাওয়া ৫৭ জন থেকে মাত্র ১০ জন পাওয়া যায় যাহারা এ খাদ্য সহায়তার জন্য উপযুক্ত। তাদের হাতে খাদ্য সহায়তা তুলে দেয়া হয় ।
এ সময় অতিরিক্ত হওয়া বেশ কিছু প্যাকেট করা খাদ্য সামগ্রী গুলো , মজুত রাখা হয় নির্দিষ্ট স্থানে । প্যাকেট করা খাদ্যের মধ্যে পচনশীল দ্রব্য আলু এবং পেঁয়াজ থাকায় অতিরিক্ত গরমের কারণে কিছু আলু নষ্ট হয়ে যাওয়ায় , পরবর্তীতে নষ্ট আলু গুলো ফেলে দিয়ে নতুন করে ভালো আলু দিয়ে প্যাকেট করে রাখা হয় খাদ্য সহায়তা জন্য ।
এ বিষয়ে সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুনা লায়লা বলেন, আমরা সর্ব্বোচ্চ চেষ্টা করি খুব দ্রুত তম সময়ে খাদ্য সহায়তা মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেয়ার জন্য । এজন্য আমরা কিছু খাদ্য সামগ্রীর প্যাকেট করে রাখি এবং কোনো ব্যাক্তি সহায়তা চাইলে আমরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে নিয়ে যাচাই করে বাড়িতে বাড়িতে দিয়ে আসি।
অতিরিক্ত গরমে আমাদের প্যাকেট করা খাদ্য সহায়তায় প্যাকেটগুলোতে থাকা পচনশীল দ্রব্য যেমন আলু পেঁয়াজ এগুলো মাঝে মাঝে নষ্ট হয় যা আমরা বিতরণের আগেই এগুলো ফেলে দিয়ে সেখানে ভালো গুলো দিয়ে বিতরণ করি। এই বিষয় নিয়ে যদি কেউ আমাকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলতে চায় তবে খুবই দুঃখজনক ।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মুসফিকুর রহমান হান্নান জানান, আমাদের উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে করা খাদ্য সহায়তায় কোনো অনিয়ম নেই।
আমি উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে সবাই এক সাথে এগুলো বিতরণ করি। আলু পেয়াজ এগুলো পচনশীল দ্রব্য এগুলো নষ্ট হতেই পারে, এটা স্বাভাবিক । এটা নিয়ে কেউ বিতর্কিত করার চেষ্টা করবে , এটা আমাদের কাম্য নয় ।
আমরা খাদ্য সহায়তা বিতরণকালে সব দেখে তারপর বিতরণ করি। এরমধ্যে যদি কোনো দ্রব্য নষ্ট হয় তবে সেগুলো বদলে সেখানে সে পরিমাণ ভালো দ্রব্য দিয়ে তারপর বিতরণ করি।
তিনি আরও বলেন কিছু স্বার্থলোভী মহল ঈর্ষান্বিত হয়ে সরকার এবং প্রশাসনের ভাবমূর্তি নষ্ট করার লক্ষ্যে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি যদি কোন ব্যক্তি ৩৩৩ তে ফোন করে খাদ্য সহায়তা পাননি এটা প্রমাণ করতে পারলে উপজেলা চেয়ারম্যান পদ হতে পদত্যাগ করবো। আশা করছি সঠিক বিষয়টি আপনারা অবগত হয়েছেন ।