04/19/2025 আইএস নির্মূল সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার
Admin 1
৩১ মে ২০১৭ ১০:১১
দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ফ্রান্স সফরে এসেছেন। ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁর সঙ্গে গত সোমবার ভার্সাই প্রাসাদে বৈঠক করলেন। আলোচনায় আইএস নির্মূল সর্বাধিক অগ্রাধিকারসহ সিরিয়া ও ইউক্রেন প্রসঙ্গে নানা বিষয়ে তাঁদের মধ্যে ‘অত্যন্ত খোলামেলা’ আলোচনা হয়েছে।
পুতিন-মাখোঁ এই প্রথম মুখোমুখি বৈঠকে বসলেন। প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর মাখোঁর জন্য এটি কূটনৈতিক দক্ষতার এক বড় পরীক্ষা। দুই দেশের মতবিরোধ আছে এমন বিষয়ও আলোচনায় এসেছে। মাখোঁ বলেন, সিরিয়া এবং সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ের মতো বিষয়গুলো নিয়ে তিনি রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে চান।
আর পুতিন স্বীকার করলেন, কয়েকটি বিষয়ে মতভেদ আছে। এসবের মধ্যে সিরিয়া যুদ্ধ এবং ইউক্রেন প্রসঙ্গও আছে। তবে সবকিছুর পরেও রুশ-ফরাসি মৈত্রী অটুট আছে। তিনি গত কয়েক বছরের নিয়ন্ত্রিত পরিস্থিতি শেষে ফ্রান্সের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক শক্তিশালী করতে চান।
রুশ প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘সন্ত্রাসবিরোধী লড়াই এবং দায়েশ (আইএস) ও অন্যান্য সন্ত্রাসী সংগঠন নির্মূল করার প্রতিই আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।’
সিরিয়া যুদ্ধে দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বিরোধী সুন্নি আরব ও কুর্দি বিদ্রোহীদের সহায়ক জোট বাহিনীতে ফ্রান্সেরও অংশীদারি আছে। অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট বাশার রাশিয়া ও ইরানের কাছ থেকে শক্তিশালী সামরিক সহায়তা পাচ্ছেন। তবে সোমবারের বৈঠকের পর পুতিন ও মাখোঁ যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, দুই দেশের আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার সুযোগ আছে।
নতুন ফরাসী নেতার বক্তব্য, তিনি চান সিরিয়ায় আইএসবিরোধী লড়াইয়ে রাশিয়ার সঙ্গে ফ্রান্সের অংশীদারি শক্তিশালী হোক। সিরিয়ায় ক্ষমতার গণতান্ত্রিক পালাবদলের প্রতিই ফ্রান্সের সমর্থন থাকবে। তবে সেখানে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহৃত হলে ফ্রান্স তাৎক্ষণিক জবাব দেবে।
পুতিন বলেছেন, সন্ত্রাসবাদ দমনের লড়াইয়ে ঐক্য ইতিবাচক পরিণাম বয়ে আনবে। তবে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ধ্বংস করে সন্ত্রাসবাদী হুমকির বিরুদ্ধে লড়াই অসম্ভব।
ইউক্রেনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের ঘটনায় মস্কোর বিরুদ্ধে ফ্রান্স দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে। ২০১৪ সালে রাশিয়া ইউক্রেনের কাছ থেকে ক্রিমিয়া দখল করে নেওয়ার পর ফ্রান্স ওই অবস্থান জানিয়ে দেয়। প্রেসিডেন্ট পুতিন সোমবার মস্কোর ওপর থেকে ইউরোপীয় দেশগুলোর পুরোনো নিষেধাজ্ঞাগুলো তুলে নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এগুলো পূর্বাঞ্চলে স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় কোনো সাহায্য করছে না।
ফ্রান্সের সর্বশেষ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কট্টর ডানপন্থী রাজনীতিক মারিন লো পেনের প্রতি পুতিন প্রকাশ্য সমর্থন দিয়েছিলেন। তবে এ প্রসঙ্গে সোমবারের সংবাদ সম্মেলনে পুতিনের ব্যাখ্যা, ‘এর মানে এই নয় যে তিনি কোনোভাবে ওই নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেছিলেন...বাস্তবে সেটা অসম্ভবও বটে।’