04/18/2025 মেট্রোরেলের উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশের কাজ সম্পন্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক
১০ মে ২০২২ ০৮:৪৮
দীর্ঘদিনের প্রতিক্ষিত মাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) লাইন-৬ এর উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশের হল ঘরের ছাদ, প্ল্যাটফর্মের ছাদ, ইস্পাতের ছাদ ও আইকোনিক স্টেশন নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এটি মেট্রোরেল হিসেবে অধিক পরিচিত।
এই নির্মাণ প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত এক কর্মকর্তা সোমবার বার্তা সংস্থা বাসসকে বলেন, আমরা এরই মধ্যেই সার্ভিস ট্রান্সফার, চেক বোরিং, টেস্ট পাইল, মেইন পাইল, পাইল ক্যাপ, আই-গ্রিডার, প্রিকাস্ট সেগমেন্ট কাস্টিং ও সব স্টেশনের জন্য সাব-স্ট্রাকচার নির্মাণ সম্পন্ন করেছি।
তিনি বলেন, কনকার্স রুফ, প্ল্যাটফর্ম রুফ, স্টিল রুফ স্ট্রাকচার ও আইকোনিক স্টেশন স্থাপনসহ সব স্টেশনের জন্য কনকার্স রুফ ও রুফ স্টিল নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
বাসসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ঢাকা মাস ট্রান্সজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন সিদ্দিক বলেন, একটি স্বপ্নের গণপরিবহন মেট্রোরেল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারী পদক্ষেপের ফলে বাস্তবায়িত হচ্ছে।
তিনি বলেন, এই গতিতে নির্মাণকাজ অব্যহত থাকলে, চলতি বছরের ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যেই আমরা প্রথম পর্যাায়ের কাজ সম্পন্ন করতে সক্ষম হব।
তিনি বলেন, উত্তরা সেক্টর-৩ ও মতিঝিলের মধ্যে মাস র্যাপিড ট্রানজিট লাইন ৬ অথবা এমআরটি লাইন ৬ এলিভেটেড রেললাইন নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী, এটি কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত বর্ধিত করা হবে।
উত্তরা থেকে মতিঝিল-কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত মোট ২১.২৬ কিলোমিটার মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে, যা এখন ৭৮.৯৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে, উত্তরা ও আগারগাঁওয়ের মধ্যবর্তী রেললাইনের ৯২.০২ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। পাশাপাশি, আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ৭৮.১৯ শতাংশ নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে। নয়টি স্টেশনের প্রবেশ ও বের হওয়ার পথের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ছয়টি স্টেশনের প্রবেশ ও বের হওয়ার পথ নির্মাণ কাজ চলছে।
যাত্রীদের উন্নততর সেবা প্রদানের লক্ষ্যে এমআরটি-৬ এর প্রতিটি স্টেশনের উভয় পাশেই এলিভেটর, এস্ক্যালেটর ও সিঁড়ি থাকবে। এই পরিবহন ঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী পরিবহন করতে পারবে। এছাড়াও এতে প্রায় দুই ঘণ্টার যাত্রা সময় কমিয়ে মাত্র ৪০ মিনিটেই উত্তরা থেকে মতিঝিল আসা যাবে।
এমআরটি লাইন সম্পন্ন হয়ে গেলে, জিডিপি প্রবৃদ্ধি ১ শতাংশ বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে, বিপুল সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সি (জাইকা) এই মেট্রোরেল নির্মাণ করছে এবং এ প্রকল্পে সহজ শর্তে ঋণ দিয়েছে।