05/02/2025 ভারত থেকে গম আমদানিতে কোন সমস্যা নেই বাণিজ্যমন্ত্রী
odhikarpatra
১৯ মে ২০২২ ০৬:১১
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, এমপি বলেছেন, ভারত থেকে গম আমদানিতে বাংলাদেশের কোন সমস্যা নেই। গভঃ টু গভঃ আমদানিতে কোন বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়নি, এছাড়া বেসরকারি পর্যায়ে বাংলাদেশের আমদানি কারকগণ অনুমতি নিয়ে যে কোন পরিমান গম আমদানি করতে পারবেন। আমরা ইতোমধ্যে ভারতের সাথে যোগাযোগ করেছি বাংলাদেশের প্রয়োজনে ভারত থেকে গম আমদানিতে কোন সমস্যা হবে না। এ মহুর্তে বাংলাদেশে প্রয়োজনীয় গম মজুত আছে। গম সংকটের কোন সম্ভাবনা নেই। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে প্রয়োজনীয় ভোজ্য তেল মজুত রয়েছে, পর্যাপ্ত ভোজ্য তেল পাইপ লাইনে রয়েছে, সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। ভোজ্য তেলের সংকট হবার কোন সম্ভাবনা নেই। আমদানিকারকদের প্রকৃত ক্রয়মূল্য ও আনুসঙ্গীক ব্যয় বিবেচনায় নিয়ে ভোজ্য তেলের ন্যায্য মূল্য নির্ধারণ করা হচ্ছে এবং নির্ধারিত মুল্যে ক্রয়-বিক্রয় চলছে, নির্ধারিত মূল্যের বেশি দামে বিক্রয়ের কোন অভিযোগ পাওয়া গেলে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ব্যাবসায়ীদের বিরুদ্ধে ভিতি সৃষ্টি করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, ন্যায় সংগত ব্যবসা পরিচালনা করলে কোন সমস্যা হবে না। ভোজ্য তেলের ৯০ শতাংশ আমরা আমদানি করে থাকি। আমরা আর আমদানি নির্ভর থাকতে চাই না। বিকল্প হিসেবে সরিষার উৎপাদন বৃদ্ধি এবং রাইজ ব্যান্ডের ভোজ্য তেলের উৎপাদন বৃদ্ধি করে দেশের চাহিদা পূরণের জন্য সরকার কাজ করছে। স্থানীয় ভাবে ৭ লাখ মেট্রিকটন রাইসব্যান্ড ভোজ্য তেল উৎপাদন করা সম্ভব, যা মোট দেশের চাহিদার ২৫ ভাগ পূরণ করতে পারবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী আজ (১৮ মে ) বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত টাস্কফোর্স কমিটির ২য় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানের সময় এসব কথা বলেন। উল্লেখ্য, বাণিজ্যমন্ত্রী দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত টাস্কফোর্স কমিটির উপদেষ্টা।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, টিসিবি দেশের এক কোটি পরিবারকে বিশেষ কার্ডের মাধ্যমে ভর্তুকি মুল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রয় অব্যাহত রাখবে। আগামী জুন মাসের প্রথমার্ধেই এ পণ্য বিক্রয় শুরু হবে। নির্ধারিত ডিলারের মাধ্যমে দোকান থেকে এসব পণ্য বিক্রয় হবে। প্রয়োজনে নির্ধারিত স্থানে ট্রাক থেকেও বিক্রয় করা হবে। এ পণ্য বিক্রয় সুশৃঙ্খল করা হয়েছে, সকল কার্ডহোল্ডার এ পণ্য পাবেন। দেশে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ মজুত ও সরবরাহ রয়েছে। পেঁয়াজ সংকট হবার কোন সম্ভাবনা নেই। দেশীয় পেঁয়াজ উৎপাদকারিদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সাময়িক ভাবে পেঁয়াজ আমদানি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। আগের যে কোন সময়ের চেয়ে দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন বেড়েছে। ন্যায্য মূল্য পেলে বাংলাদেশের কৃষকরা পেঁয়াজ উৎপাদনে আরও আগ্রহী হবেন। অল্প সময়ের মধ্যে পেঁয়াজ আমদানি স্বাভাবিক হবে। এছাড়া, পেঁয়াজের নতুন জাত উদ্ভারন করা হচ্ছে, আশা করা যায় আগামী ২০২৫ সালে বাংলাদেশ পেঁয়াজ উৎপাদনে স্বয়ং সম্পন্ন হবে। সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য সরকার দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে তা বাস্তবায়ন করছে। অল্প সময়ের মধ্যে এর সুফল পাওয়া যাবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ এর সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড টেরিফ কমিশনের চেয়ারম্যান (সচিব) মো. আফজাল হোসেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ কে এম আলী আহাদ খান, টিসিবি’র চেয়ারম্যান ব্রি.জে. মো. আরিফুল হাসান, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মকর্তা, এফবিসিসিআই এর সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমীন হেলালী, সিটি গ্রুপের উপদেষ্টা অমিতাভ চক্রবর্তীসহ সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন।