04/19/2025 ‘খেলাফত খতম’ : আইএস হঠিয়ে নুরি মসজিদ দখলে নিল ইরাকি বাহিনী
Admin 1
৩০ জুন ২০১৭ ১৮:৫৬
ইরাকি সেনা বাহিনী আজ আইএস হঠিয়ে মসুল নগরীর আল নুরি পুনরুদ্ধার করে ‘খেলাফত খতম’ বলে ঘোষণা করেছে।
তিন বছর আগে মসুলের আল নুরি মসজিদ থেকে ‘খিলাফত’ প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছিলেন ইসলামিক স্টেট (আইএস) নেতা আবু বকর আল বাগদাদি।
ঠিক এক সপ্তাহ আগেই ওই ঐতিহাসিক আল নুরি মসজিদ আর তার ওপরের হেলানো আল হাবদা মিনার ধূলিসাৎ করেছিল আইএস। আমেরিকা ও ইরাক তখন জানিয়েছিল, ওই জঙ্গিগোষ্ঠীর দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। আর সে কথা বুঝতে পেরেই ইতিহাসের সাক্ষী ওই মসজিদ ও মিনার গুঁড়িয়ে দিয়েছে তারা। যদিও আইএস-এর দাবি ওই মসজিদ ও মিনার ধ্বংস করেছে মার্কিন জোট। কিন্তু আইএসের দাবি প্রত্যাখ্যান করে মার্কিন বাহিনী।
তিন বছর আগে বাগদাদি যখন এই মসজিদে ‘খেলাফত’-এর ডাক দিয়েছিলেন, তখন থেকেই এখানে আইএসের কালো পতাকা উড়ত ওই মিনারে। কিন্তু গত কয়েক মাসে বদলে যায় সেই ছবিটা। মসুল পুনরুদ্ধারের জন্য আইএসের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত জোট বাহিনী।সেই অভিযানের অংশ হিসেবে আল নুরি মসজিদ পুনরুদ্ধার করাই ছিল প্রধান লক্ষ্য। তার পরেই আল নুরি পুনরুদ্ধারের জন্য এগোতে শুরু করে ইরাকি সেনা বাহিনী। আর নিজেদের শক্ত ঘাঁটি হারানোর ভয়েই গত বৃহস্পতিবার ওই মসজিদ গুঁড়িয়ে দেয় আইএস জঙ্গিরা।
এই ঘটনার পরে বিশেষ বাহিনীর মেজর জেনারেল স্যামি আল-আরিদি সতর্কতা জারি করেছিলেন, মসজিদের ধ্বংসস্তূপে বিস্ফোরক রেখে দিয়ে থাকতে পারে জঙ্গিরা। তাই ইঞ্জিনিয়ার দল নিয়েই ওই ধ্বংসাবশেষ সরানোর কাজ করতে হবে। তাই খুব ধীরে ধীরেই সে দিকে এগোচ্ছিল সেনা। গত কালই বিস্ফোরক নিয়ে টাইগ্রিস নদী পেরিয়ে শহরের পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে যাওয়ার চেষ্টা করছিল এক আইএস জঙ্গি। সেই সময় তাকে হত্যা করা হয়।
এর পর আজ ভোর থেকেই ওই মসজিদের পুনর্দখল নিতে এগোতে শুরু করেছিল ইরাকের বিশেষ বাহিনী। দুপুরের দিকে ওই চত্বরে ঢুকে পড়ে আশপাশের রাস্তার দখল নেয় তারা। আর আজকের এই মসজিদ পুনর্দখলই ইরাকি সেনার মসুল জয়ের অন্যতম বড় প্রতীক।
ইরাকি সেনা বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া রসুল সংবাদমাধ্যমের কাছে জানিয়েছেন, ইরাকে আইএস জঙ্গিদের আধিপত্য ধ্বংস হয়েছে।
তবে ইরাকে আইএসকে পুরোপুরি ধ্বংস করার কাজ যে এখনও অনেক দূরে তা মানছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট। আজই ইরাকে নিজেদের সামরিক বাহিনী রাখার মেয়াদ ২ বছর বাড়িয়েছে কানাডা। ইরাকে কানাডার প্রায় ২ হাজার কমান্ডো রয়েছেন।