10/29/2025 বোয়েসেল চলতি বছর দক্ষিণ কোরিয়ায় ৪ হাজার ৯৪১ কর্মী পাঠিয়ে রেকর্ড গড়তে চলেছে
odhikarpatra
৫ November ২০২২ ০৮:২২
কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে, দক্ষিণ কোরিয়া সরকার ২০২০ সালের মার্চ থেকে ২০২১ সালের নভেম্বর পর্যন্ত বিদেশী ইপিএস কর্মীদের গ্রহণ স্থগিত রেখেছিল।
দক্ষিণ কোরিয়া ও বাংলাদেশ উভয় দেশেই মহামারী স্তিমিত হয়ে আসার পরে, দক্ষিণ কোরিয়া সরকার ২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে আবার কর্মী নেয়া শুরু করেছে। বাংলাদেশ থেকে শ্রমিকদের যাওয়ার আগে ও কোরিয়ায় পৌঁছানোর পরে কঠোর কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল।
২০২২ সালে দক্ষিণ কোরিয়া ১৯৪১ জন বাংলাদেশী শ্রমিক নেয়ার কোটা ঘোষণা করে। বোয়েসেল ছয় মাসের মধ্যে কোটা পূরণ করেছে। এ কারণেই দক্ষিণ কোরিয়া দুই ধাপে অতিরিক্ত কোটা ঘোষণা করেছে। বোয়েসেল আশা করছে, তারা এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে কোটা পূরণ করতে পারবে।
সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী সম্ভব হলে, ২০০৮ সাল থেকে বাংলাদেশে কোরিয়ার ইপিএস কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর থেকে সেদেশে নিযুক্ত মোট শ্রমিকের সংখ্যা হবে সর্বোচ্চ।
এর আগে ২০১৮ সালে, সর্বোচ্চ ২ হাজার ৩৫৫ বাংলাদেশী কর্মী ইপিএসের মাধ্যমে সে দেশে গিয়েছিলেন।
বোয়েসেল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন বাসস-এর সাথে আলাপকালে বলেন, বোয়েসেল দ: কোরিয়ায় বাংলাদেশী কর্মীদের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং তাদের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে বৈচিত্র্য আনতে ঢাকায় দক্ষিণ কোরিয়া দূতাবাস এবং ইপিএস সেন্টারের সাথে যৌথভাবে কাজ করছে। তিনি বলেন, তারা আরও যোগ্য কর্মী প্রস্তুত করার জন্য কাজ করছে।
তিনি জানান, দক্ষিণ কোরিয়া সরকার ইপিএসের মাধ্যমে বাংলাদেশসহ নির্বাচিত ১৬টি দেশ থেকে মাঝারি ও স্বল্প-দক্ষ বিদেশী কর্মী নিয়োগ করছে।
তিনি আরও বলেন, “১৬টি দেশ কর্মসংস্থান পারমিট ব্যবস্থার অধীনে দক্ষিণ কোরিয়ায় কর্মী পাঠাচ্ছে। এর মধ্যে স্বল্প সময়ের মধ্যে যোগ্য কর্মী পাঠিয়ে বাংলাদেশ একটি সম্মানজনক অবস্থানে রয়েছে।”
অতিরিক্ত সচিব ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন বলেন, দক্ষিণ কোরিয়ায় শিল্পকারখানায় কাজে নিয়োজিত বাংলাদেশী শ্রমিকরা ন্যূনতম মাসিক ১৮০০ ডলার বেতন পান।
কোরিয়ার ইপিএস সিস্টেম এবং বিদেশী কর্মী নীতি আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) দ্বারা স্বীকৃত। কোরিয়ায় উচ্চ বেতন, সমান শ্রম অধিকার এবং কর্মসংস্থান বীমা, শিল্প দুর্ঘটনা ক্ষতিপূরণ বীমা, জাতীয় পেনশন এবং জাতীয় স্বাস্থ্য বীমাসহ চার-শ্রেণীর বীমা নিশ্চিত করা হয়।
ইপিএসের মাধ্যমে ২৫ হাজার ৮৭৭ জনের বেশি বাংলাদেশী কর্মীকে দক্ষিণ কোরিয়ায় পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে বাংলাদেশী কর্মীদের রেমিট্যান্স প্রবাহ ছিল ১৩৫.৪৬ মিলিয়ন ডলার। দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসী বাংলাদেশী শ্রমিকদের রেমিট্যান্স আয়ের ১৫টি প্রধান উৎসের অন্যতম।
দুই সরকারের মধ্যে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হওয়ার পর, বোয়েসেল ২০০৮ সাল থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় বাংলাদেশী কর্মী পাঠাচ্ছে।