04/19/2025 বয়স ৮২, তাতে কী!
gazi anwar
৮ আগস্ট ২০১৭ ১৩:২৬
প্রবীণদের জন্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর আগ্রহ কম দেখে হতাশ হয়েছিলেন মাসাকো। এরপর নিজ থেকেই কোড শেখেন এবং নিজের দক্ষতা দেখাতে শুরু করেন।
৬০ বছরের বেশি বয়স হয়ে গেলে নিজেকে সক্রিয় রাখার জন্য নতুন নতুন দক্ষতা অর্জনের প্রতি গুরুত্ব দেন তিনি।
মাসাকো বলেন, বয়স বেড়ে গেলে অনেক কিছু হারাতে হয়। স্বামী, চাকরি, চুল, এমনকি দৃষ্টিশক্তি। হারানোর ভাগটাই বেশি। তবে নতুন যখন কিছু শেখা হয়, তা যদি প্রোগ্রামিং বা পিয়ানোর মতো বিষয়ও হয়, তবে তা ইতিবাচক ও প্রেরণাদায়ী।
টোকিওতে সম্প্রতি এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মাসাকো বলেন, যখন পেশাদার জীবন শেষ হবে, তখন আবার স্কুলজীবনে ফিরতে হবে। ইন্টারনেটের এ যুগে যদি শেখার বিষয়টি থামিয়ে দেওয়া হয়, তবে দৈনন্দিন জীবনে প্রভাব পড়বে।
ব্যাংকের ক্লার্কের পদ থেকে অবসর নেওয়ার পর নব্বইয়ের দশকে থেকেই কম্পিউটারে আগ্রহ দেখান মাসাকো। তাঁর প্রথম সিস্টেম বিবিএস মেসেজিং সেটআপ দিতে কয়েক মাস সময় লেগেছিল। এরপর তিনি ধীরে ধীরে মাইক্রোসফট পিসি, ম্যাক ও আইফোনে দক্ষ হয়ে ওঠেন। তিনি সফটওয়্যার নির্মাতাদের প্রবীণদের উপযোগী সফটওয়্যার তৈরির আহ্বান জানালেও সাড়া পাননি। তখন নিজেই আগ্রহী হয়ে ওঠেন। কোডিংয়ের প্রাথমিক বিষয়গুলো শিখে নিয়ে তিনি ‘হিনাদান’ নামে একটি গেম খেলার অ্যাপ তৈরি করেন। ৬০ বছরের বেশি বয়সীদের উপযোগী গেম অ্যাপ এটি। তাঁর কাজের চাহিদা এখন এত বেড়েছে যে অ্যাপলের বার্ষিক ওয়ার্ল্ডওয়াইড ডেভেলপার্স কনফারেন্সে তাঁকে অংশগ্রহণের জন্য ডাকা হয়েছিল। সেখানে সবচেয়ে প্রবীণ অ্যাপ নির্মাতা হিসেবে অংশ নেন তিনি। তথ্যসূত্র: এএফপি।