বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক আজ এক যুক্ত-বিবৃতিতে সাম্প্রতিক এক আলোচনা সভায় বিএনপি নেতা গয়েশ^র চন্দ্র রায় এবং আবদুল আউয়াল মিন্টু দেশের স্বাধীনতা অর্জন ও সংবিধান নিয়ে যে ধৃষ্টতাপূর্ণ ও অবমাননাকর বক্তব্য রেখেছেন তার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, বাংলাদেশ কারো দয়ার দান নয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর সহকর্মী জাতীয় নেতৃবৃন্দের পাকিস্তানি শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে দীর্ঘ আড়াই দশকের নিরবিচ্ছিন্ন সংগ্রাম ও একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। এই দীর্ঘ সংগ্রামে অসংখ্য মানুষ আত্মাহূতি দিয়েছেন, এছাড়া নানভাবে নির্যাতিত হয়েছেন আরো অগণিত মানুষ। কেবলমাত্র একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ই শহীদ হয়েছেন ৩০ লক্ষাধিক মানুষ, সম্ভ্রম হারিয়েছেন লক্ষ লক্ষ মাতা-বঁধু-কন্যা। বাংলাদেশের স্বাধীনতা বাইচান্স এসেছে  এমন ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্য রেখে গয়েশ^র রায় এই মহান আত্মত্যাগকে চরমভাবে অবমাননা করেছেন। সেই সাথে আবদুল আউয়াল মিন্টু দেশের সংবিধান যাঁরা তৈরি করেছেন তাঁরা কেউ যোগ্য লোক ছিলেন না এবং বিএনপি ক্ষমতায় গেলে দেশের সংবিধান নতুন করে লেখার যে ঘোষণা দিয়েছেন তা বাংলাদেশকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্রের বহিঃপ্রকাশ। তবে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর জনগণের তোয়াক্কা না করে যারা কোনো কোনো সামরিক কর্মকর্তার পকেট থেকে জন্ম নেয়া দলের বাইচান্স নেতা হয়ে গিয়েছেন, একমাত্র তাদের পক্ষেই দেশের স্বাধীনতা ও সংবিধান নিয়ে এমন ধরনের অর্বাচীন ও বাস্তবতা-বিবর্জিত মন্তব্য করা সম্ভব।
তাদের এইসব বক্তব্য রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক এবং এজন্য অবিলম্বে তাদেরকে প্রচলিত আইনের আওতায় আনার জন্য বঙ্গবন্ধু পরিষদ জোর দাবি জানায়।