04/21/2025 শ্রমখাতে বাংলাদেশের উন্নতির প্রচেষ্টার বার্তা তুলে ধরা হবে:পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
আহসানুল ইসলাম আমিন
১২ জুন ২০২৩ ০৩:১৭
নিজস্ব প্রতিবেদক:
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সম্মেলনে যোগ দিতে সুইজারল্যান্ডের রাজধানী জেনেভায় যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জেনেভায় সরকারপ্রধানের উপস্থিতি শ্রমখাতে বাংলাদেশের আরও উন্নতি করতে চাওয়ার ধারাবাহিক প্রচেষ্টার বার্তা দেবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বলছে, আগামী ১৩ জুন জেনেভার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন প্রধানমন্ত্রী। সম্মেলনে যোগ দিয়ে ১৬ জুন দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
আজ রবিবার (১১ জুন) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে শেখ হাসিনার আইএলও’র সম্মেলনে যোগ দেওয়ার প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়া রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আইএলও এর শ্রম বিষয়ক আইনগুলোর সংস্কার করেছে। দেশে যেখানে কর্মপরিবেশ উন্নয়নের সুযোগ আছে আমরা সেখানে অব্যাহতভাবে তা করে যাচ্ছি। সামনের দিনে জিএসপি প্লাস থেকে শুরু করে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করার অনেক সুযোগ আছে, এগুলো নিয়ে আমরা কাজ শুরু করেছি।
শাহরিয়ার আলম বলেন, আইএলওতে গত বছর আমরা একটি রোড ম্যাপ দিয়েছি যা, ২০২৫ সাল নাগাদ আমাদের বাণিজ্যিক অংশীদার যেসব রাষ্ট্র আছে তাদের কিছু পর্যবেক্ষণ আছে। সেগুলোকে আমলে নিয়ে কিছু অ্যামেন্ডমেন্ট আসবে এবং ভবিষ্যতে আরও কিছু করা হবে।
তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সামনের দিনে জিএসপি নতুন যে ধারণা তারা প্রবর্তন করেছেন সেটি এবং পরবর্তী সময়ে ২০১৯ সাল পর্যন্ত আমরা বর্তমান প্রেক্ষাপটে ইইউ থেকে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাব, যা ২০১৯ সাল পর্যন্ত চলবে। কিন্তু তারপরে আরও অব্যাহতভাবে এই সুবিধা পেতে হলে আমাদের জিএসপি প্লাস নিতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সার্বিক বিবেচনা তে খুবই গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হচ্ছে আইএলও। সেখানে (জেনেভা) প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতি এটা নিশ্চিত করবে যে আমরা এই খাতে আরও উন্নতি করতে চাই। এতদিন দেখা গেছে, রপ্তানিমুখী কলকারখানাগুলোতে আন্তর্জাতিক আইন বাস্তবায়ন করা হয়েছে, কিন্তু ধীরে ধীরে আমাদের অভ্যন্তরীণ শিল্প খাতেও আন্তর্জাতিককে আইনগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে। জেনেভার সম্মেলনের প্রধানমন্ত্রী নিজের সশরীরে উপস্থিত হয়ে বাংলাদেশের এসব আকাঙ্ক্ষাগুলো ব্যক্ত করবেন।
উল্লেখ্য, আইএলও’র ১১১তম আন্তর্জাতিক শ্রম সম্মেলন গত ৫ জুন জেনেভায় শুরু হয়েছে। এটি আগামী ১৬ জুন পর্যন্ত চলবে। সম্মেলনের শেষাংশে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারপ্রধান ও রাষ্ট্রপ্রধানদের যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।