04/21/2025 গ্রামীণ কল্যাণের ১০৬ শ্রমিককে দিতে হবে লভ্যাংশ
আহসানুল ইসলাম আমিন
১০ জুলাই ২০২৩ ২৩:৩৮
নিজস্ব প্রতিনিধি:
গ্রামীণ কল্যাণ থেকে চাকরি যাওয়া ১০৬ শ্রমিককে শ্রম আইন অনুযায়ী কোম্পানির লভ্যাংশ দেওয়ার বিষয়ে শ্রম অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের রায় বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ। পাশাপাশি হাইকোর্টকে দু’মাসের মধ্যে এ সংক্রান্ত রুল নিষ্পত্তিরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার (১০ জুলাই) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে শ্রমিকদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ খুরশীদ আলম খান। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী গোলাম রব্বানী শরীফ। ড. ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন ও ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ।
ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, হাইকোর্টের ছয় মাসের স্থিতাবস্থা জারির আদেশ স্থগিত বহাল রেখেছেন। একই সাথে, দু’মাসের মধ্যে রুল নিষ্পত্তি করতে বলেছে আপিল বিভাগ।
গত ৩ এপ্রিল নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মালিকানাধীন গ্রামীণ কল্যাণ থেকে চাকরিচ্যুত ১০৬ শ্রমিককে শ্রম আইন অনুযায়ী কোম্পানির লভ্যাংশ পরিশোধ করতে রায় দেন শ্রম অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনাল। পরে রায় চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন ড. ইউনূস। এরপর ৩০ মে হাইকোর্ট এক আদেশে শ্রম অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের রায়ের স্থিতাবস্থা জারি করেন। পাশাপাশি রুলও জারি করা হয়। এ পর্যায়ে হাইকোর্টের রায় স্থগিতের জন্য আপিল বিভাগে আবেদন করেন শ্রমিকেরা।পরে ২২ জুন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য প্রধান বিচারপতি নেতৃত্বে বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার শুনানি নিয়ে আদেশ দেন আপিল বিভাগ।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ১০৬ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী ২০০৬ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত গ্রামীণ কল্যাণে কর্মরত ছিলেন। এ সময়ে কোম্পানির লভ্যাংশ থেকে তাঁদের বঞ্চিত করা হয়। শ্রম আইনে বলা আছে, শ্রম আইন কার্যকর হওয়ার দিন থেকে কোম্পানির লভ্যাংশের ৫ শতাংশ শ্রমিকদের কল্যাণ ও অংশগ্রহণ তহবিল দিতে হবে। কিন্তু এ লভ্যাংশ না পাওয়ার কারণে প্রথমে শ্রমিকরা গ্রামীণ কল্যাণকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। কিন্তু তাতে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় তারা শ্রম আদালতে মামলা করেন।