04/21/2025 'বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার আন্তর্জাতিক তদন্ত চাই': দাবি বঙ্গবন্ধু পরিষদের
অনলাইন ডেস্ক
১৯ আগস্ট ২০২৩ ০৫:৫৭
বঙ্গবন্ধুকে কেন হত্যা করা হলো এ বিষয়ে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে বিভিন্ন কথা পাওয়া যায়। কিন্তু সেগুলোর কোনোটা থেকেই পূর্ণাঙ্গ চিত্র পাওয়া যায় না। মনে হয় যেনো একেকজন তাদের মনের মাধুরি মিশিয়ে একেক মত দিয়েছে এবং যার অধিকাংশই বানানো।
কিন্তু সত্যটা জানা দরকার। এটি করতে হলে সরকার কর্তৃক একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিশন গঠিত হওয়া প্রয়োজন। এর মাধ্যমে প্রকাশিত হবে কারা কারা এই জঘন্য হত্যাকান্ডে জড়িত ছিল।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িতদের বিচার হয়েছে। কিন্তু যাদের বিচার করা হয়েছে তারা সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যার দৃশ্যমান আসামী। কিন্তু সামনে যারা ছিল না, যারা গোপনে এই ষড়যন্ত্রে অংশ নিয়েছে ও হত্যাকাণ্ডে ইন্ধন যুগিয়েছে বা বিদেশে লবিং করেছে কিংবা সরকারি প্রশাসনে ঘাপটি মেরে বসে সরকারের সিদ্ধান্তগুলোর বিরোধিতা করেছে কিংবা যারা বিদেশে বসে ষড়যন্ত্রের অগ্রগতি মনিটর করেছে এইসব লুকিয়ে থাকা অদৃশ্য মানুষ গুলোর একের সাথে অন্যের যোগাযোগ ছিল কিনা, তারা কোনো ষড়যন্ত্রের অংশ ছিল কিনা এবং কতটুকু ছিল এগুলো তদন্ত করা জরুরি হয়ে পড়েছে।
বঙ্গবন্ধু পরিষদের ধারণা, সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা কোনো হঠাৎ করার মতো কাজ নয়। এর পিছনে নিশ্চয়ই দীর্ঘদিনের সুপরিকল্পনা আর অসৎ ষড়যন্ত্র কাজ করছে। হয়তো হত্যার এই পরিকল্পনা শুরু হয়েছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পর থেকেই,কিংবা কে জানে হয়তো তারও আগে। আমরা দেশের ও আগামী দিনের সৎ ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতির স্বার্থে সবটুকু জানতে চাই। ষড়যন্ত্রগুলোর সম্পর্কে জাতি না জানলে রাজনীতি পরিচ্ছন্ন হবে না।
দেশের একটি সচেতন বুদ্ধিবিত্তিক সংগঠন হিসেবে আমরা যারা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাথে যুক্ত আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে দেশি বিদেশি বিশেষজ্ঞ ও বুদ্ধিজীবিদের নিয়ে গঠিত একটি আন্তর্জাতিক কমিশনের তদন্তের মাধ্যমে ইতিহাসের এই নিকৃষ্টতম রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের প্রকৃত স্বরূপ উন্মোচিত হওয়া জাতির প্রয়োজনেই অন্তত জরুরি। আমরা আন্তর্জাতিক মানের তদন্ত চাইছি মানে এই নয় যে আমরা আন্তর্জাতিক মানের তদন্ত চাই। আমরা চাই তদন্ত রিপোর্টটি যেন শুধু দেশীয় পরিমন্ডলে নয়, বরং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছেও বেশি গ্রহনযোগ্য হয়। সেজন্য এই তদন্ত কমিশনে বিদেশি প্রথিতযশা বুদ্ধিজীবি, বিচারপতি ,আইনজীবি, অধ্যাপক,সাংবাদিক, সমাজকর্মী, মানবাধিকারকর্মী, অপরাধ বিজ্ঞানের বিশেষজ্ঞ ইত্যাদি ব্যক্তিবর্গ অন্তর্ভুক্ত থাকেন।
কেননা এই হত্যা ষড়যন্ত্রে বিদেশি কেউ অদৃশ্য আকারে জড়িত থাকলে তা উদঘাটন করতেও এই বিদেশী সদস্যরা সাহায্য করতে পারবে।
বঙ্গবন্ধু পরিষদ তাই এবারের শোকের মাসেই ঐতিহাসিক স্লোগানটি বাছাই করেছে "বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার আন্তর্জাতিক তদন্ত চাই"। স্লোগানটি ৪২ বছরের পুরনো হলেও দুঃখজনক যে আজও অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক।