04/20/2025 নীরব চবি প্রশাসন দিচ্ছে না কোন তথ্য
সোহেল রানা, চবি প্রতিনিধি
১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৩:০৪
সোহেল রানা, চবি প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) গত ৭ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাতে চট্টগ্রাম শহর থেকে শাটল ট্রেনে করে ফেরার পথে চৌধুরী হাট এলাকায় রেললাইনের উপরে হেলে থাকা গাছের সাথে ধাক্কা খেয়ে অন্তত ২০ শিক্ষার্থী আহত হয়। এর মধ্যে তিনজন শিক্ষার্থীর অবস্থা আশংকাজনক। তাদেরকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে।এর মধ্যে একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী অং সু ইং মারমা। বাকি দুজন খলিলুর রহমান ও আমজাদ হোসেন বহিরাগত।
ট্রেনের ছাঁদের দুর্ঘটনার জেরে ক্ষুব্ধ হয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে আটকে দিয়ে আন্দোলন করে। এসময় পর্যবেক্ষণ টাওয়ার, উপাচার্যের বাসভবন, শাটল ট্রেনের বগিতে আগুন পরিবহন দপ্তরে প্রায় ৬৫টি শিক্ষকবাসসহ প্রাইভেটকার ভাঙচুর করা হয়।
এ বিষয়ে গতকাল (৮ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫ টার দিকে উপাচার্যের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়। সেখানে উপাচার্য বলেন,গতকালের ভাঙচুরের বিষয়ে তিনটি মামলা করা হয়েছে। ভিসি বাসভবনে ভাঙচুর, পরিবহন দপ্তরে ভাঙচুর, গার্ড বা ভিসি হত্যাচেষ্টায় 'এটেম্ট টু মার্ডার কেস' এই তিনটি বিষয়ে মামলা করা হয়েছে। সেগুলো ফুটেজ দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া তিনি ঘোষণা দেন রোববার থেকে স্বাভাবিক নিয়মে বিশ্ববিদ্যালয় চলবে। অথচ ২৪ ঘণ্টা হতে যাচ্ছে তবে এ নিয়ে কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে চবি উপাচার্যকে একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড.নূরুল আজিম সিকদারের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন কেটে দেন।
সহকারী প্রক্টর ড. মোরশেদুল আলমের কাছে পরীক্ষা,শাটল, পরিবহন এবং মামলা বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা সিদ্ধান্তের মধ্যে আছি পরীক্ষা শাটল ক্লাস নিয়ে আমাদের মাঝে একটি মিটিং হয়েছে। অনেক শিক্ষক মনে করেন যে তাদেরকে লাঞ্ছনা করা হয়েছে। সে কারণে তারা কিছুটা অভয় চাচ্ছে এবং নিরাপত্তা বিধানের কথা বলেছে। আশা করি দ্রুত সমস্যা সমাধান হবে। এছাড়া তিনি বলেন,মামলার বিষয়ে কিছু বলা যাবে না। আর তদন্ত কমিটির এটি প্রক্রিয়াধীন আছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে এম নূর আহমদ ও হাটহাজারী থানার ওসি মো: মনিরুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে ফোন রিসিভ করেনি।