04/22/2025 শহীদ শেখ রাসেলের জন্মদিনে বঙ্গবন্ধু পরিষদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন
অনলাইন ডেস্ক
১৮ অক্টোবর ২০২৩ ১২:১১
শহীদ শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক আজ এক যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করেছেন।
বিবৃতিতে তারা বলেন –“জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর কনিষ্ঠতম পুত্রের নাম রেখেছিলেন তাঁর প্রিয় লেখক, সাহিত্যে নোবেলজয়ী, পৃথিবীখ্যাত দার্শনিক, পারমাণবিক অস্ত্র ও যুদ্ধবিস্তারের বিরুদ্ধে অত্যন্ত সোচ্চার আন্দোলনকারী এবং বিশ্ব মানবিকতার প্রতীক বার্টান্ড রাসেলের নাম অনুযায়ী 'শেখ রাসেল'। তিনি হয়তো চেয়েছিলেন তাঁর ছেলে বড় হয়ে একদিন এই মানবতাবাদী দার্শনিকের মতোই মহৎ মানবিক হৃদয়ের অধিকারী হবে। বঙ্গবন্ধুর সেই আশা পূরণের মৃদু লক্ষণাদি শিশুকাল থেকেই শেখ রাসেলের মধ্যে কিছু কিছু প্রকাশিত হচ্ছিল। ছাদের পোষা কবুতরকে প্রতিদিন দানা খাওয়াতো বলে সে কোনোদিন কবুতরের মাংস খায়নি। বরং কবুতর রান্না করতে গেলে সে প্রতিবাদ করতো এবং বেশ কয়েকদিন তুমুল অভিমান করে থাকতো। যেখানেই যেত সেখানেই ছোট ছেলেমেয়েদের সাথে সে ভাব জমানোর চেষ্টা করতো। যেখানে সে পড়তো, সেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলে তার অনেক বন্ধু ছিল। যখন গ্রামের বাড়ি যেত তখন সেখানকার বাচ্চাদের জন্য সে উপহার দেয়ার জন্য অনেক জামা-কাপড় নিয়ে যেত। স্কুলে যাওয়া-আসার পথে ভিক্ষুকদের প্রতি সে ছিল উদারহস্ত।
সে বলতো বড় হয়ে সেনাবাহিনীর অফিসার হবে। অথচ কী পরিহাস, সেনাবাহিনীই ১০ বছরের অত্যন্ত নরম মনের এই শিশুটিকে বাবা-মায়ের লাশের উপর দিয়ে হাঁটিয়ে, তাদের রক্তে পিচ্ছিল সিঁড়ি মাড়িয়ে, বাবা-মায়ের রক্তে তার কচি পা দুটি রঞ্জিত করে, টেনে-হিঁচড়ে উপরতলায় নিয়ে, স্নেহশীল ভাই-ভাবীদের লাশের উপর তাকে ফেলে গুলিতে ঝাঁজরা করে হত্যা করলো।
১৯৭৫ সালে রাসেলের বড় আপা জার্মানি যাওয়ার সময় তাকে সঙ্গে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তখন তার জন্ডিস হওয়ার কারণে সে যেতে পারেনি। জন্ডিস না হলে সে হয়তো হত্যার শিকার না হয়ে আজও বেঁচে থাকতো। তার বড় আপা, ছোট আপাকে সঙ্গ দিতে পারতো। আজ সারা দেশে যে বিপুল কর্মযজ্ঞ চলছে তা আরো বেগবান হতে পারতো। শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে নিশ্চয়ই আজ বাংলার পরম মানবিক নেতা বঙ্গবন্ধুর যোগ্য উত্তরসূরী হতে পারতো। হয়তো বা সে আজ বার্টান্ড রাসেলের দেখানো বিশ্বশান্তির পথে মানবতাবাদের এক আইকনও হতে পারতো।
শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মদিনে বঙ্গবন্ধু পরিষদের পক্ষ থেকে তাকে বিষাদতম শ্রদ্ধা জানাই।”