বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলাকারী রূপনগর থানা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি গফুর মোল্লা অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের রূপনগর থানা পুলিশ। 

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে রূপনগরের নিজ বাসভবন থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের সময় তার কাছ থেকে ১টি শর্টগান, ৮টি গুলি এবং ১টি ব্যবহৃত কার্তুজ জব্দ করা হয়। 
তিনি বলেন,মিরপুরের বিভিন্ন জায়গায় বিশেষ করে মিরপুর-১০, পল্লবী প্রশিকার মোড়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা সশস্ত্র হামলা ও নির্বিচারে গুলি চালায়। গত ২০ জুলাই  বিকেল ৪টা হতে ৫টার মধ্যে মিরপুর-১০ সংলগ্ন প্রশিকার মোড় মেইন রোডের উপর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্রদের ওপরে এ হামলায় শামীম হাওলাদার নামে এক ব্যক্তি গুলিবদ্ধ হয়ে মারা যায়। এ ঘটনায় ভিকটিমের চাচাতো ভাই সম্রাট হাওলাদার রুপনগর থানায় গত ১৫ সেপ্টেম্বর হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্তকালে ঘটনাস্থলের বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অভিযুক্ত গফুর মোল্লাকে  শনাক্ত করা হয়। পরবর্তীতে  তার নিজ বাসভবন থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। 
গফুর মোল্লা তার নামে লাইসেন্সকৃত শটগানের জন্য ২০০১ সালে ৫০টি, ২০০৬ সালে ২৫টি এবং ২০১৩ সালে ২৫টিসহ মোট ১০০টি গুলি ক্রয় করেন। রূপনগর থানা পুলিশ তার কাছে থেকে ১টি শর্টগান, ৮টি অক্ষত গুলি এবং ১টি  ব্যবহৃত কার্তুজ উদ্ধার করে। বাকি ৯২টি গুলির বিষয়ে তিনি সন্তোষজনক কোন জবাব দিতে পারেননি এবং তিনি গুলি ব্যবহার বা হারানো সংক্রান্তে  থানায় জিডি করেননি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, ৯২টি গুলি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ব্যবহার করেছেন।এছাড়াও পল্লবী থানাধীন মিরপুর অরজিনাল-১০ বাসস্ট্যান্ডের পপুলার ডায়াগণস্টিক সেন্টারের কাছে গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্রদের উপরে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা সশস্ত্র হামলা ও নির্বিচারে গুলি চালায়। এ হামলায় ইমন হোসেন আকাশ নিহত হয়।এ নিহতের ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা পল্লবী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। গ্রেফতারকৃত গফুর মোল্লা এই হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত আসামী। গফুর মোল্লাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।