12/05/2024 পুলিশকে জনবান্ধব করতে সংস্কার করা হবে : সংস্কার কমিশন
odhikarpatra
৬ অক্টোবর ২০২৪ ২১:১৩
পুলিশ সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান সফর রাজ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশ পুলিশকে একটি যুগোপযোগী, গণমুখী ও সেবামুখী বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে ১৫০ বছরের পুরনো পুলিশ আইন সংশোধনসহ বিভিন্ন প্রস্তাবনা তৈরি করা হবে। সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি আজ বলেন, একটি গণতান্ত্রিক দেশের জন্য আমাদের একটি ভালো পুলিশ বাহিনী গড়ে তুলতে হবে এবং এর প্রধান কাজ হবে জনগণের সেবা করা। এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেন, পুলিশের সংস্কারে তারা সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতা করবেন। চেয়ারম্যান বলেন, বিভিন্ন গণতান্ত্রিক দেশে পুলিশ সংস্কার প্রস্তাবে সর্বোত্তম অনুশীলনগুলো অন্তর্ভুক্ত করা হবে। তিনি বলেন, বিভিন্ন গণতান্ত্রিক দেশে পুলিশ কীভাবে কাজ করে সে সম্পর্কে আমাদের ধারণা আছে। আমরা পুলিশ সংস্কারের প্রস্তাবে সেসব দেশের সেরা অনুশীলনগুলি অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করব। তিন মাসের মধ্যে প্রস্তাব জমা দিতে পারবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সফর রাজ হোসেন বলেন, তারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তাদের কাজগুলো সম্পন্ন করার চেষ্টা করবেন। তিনি বলেন, নির্ধারিত সময়ে প্রস্তাবগুলো চূড়ান্ত করতে আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সপ্তাহে পাঁচ দিন কাজ করছি। তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ ১৫০ বছরের পুরনো আইন, পুলিশ আইন ১৮৬১ এবং পুলিশ প্রবিধান ১৯৪৩ দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। তিনি বলেন, এই আইনগুলো অনেক পুরনো। আইনে বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন করা হয়নি। কমিশনে যারা আইনে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনতে কাজ করছে তারা জনগণের সঙ্গে আলোচনা করবে। তিনি বলেন, পুলিশ সংস্কারের লক্ষ্যে সুপারিশ প্রণয়নের জন্য সুশীল সমাজের কর্মী, বিশেষজ্ঞ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষক, সাধারণ মানুষ এবং পুলিশের মতো অংশীজনদের কাছ থেকে মতামত নেওয়ার পরিকল্পনা কমিশনের রয়েছে। তিনি বলেন, আমরা শুধু সরকারকে পরামর্শ দেব যে, পুলিশ আইনের বিভিন্ন ধারা সময় উপযোগী এবং আধুনিক করার জন্য কী পরিবর্তন করা দরকার। গত ৩ অক্টোবর সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব সফর রাজ হোসেনের নেতৃত্বে পূর্ণাঙ্গ পুলিশ সংস্কার কমিশন গঠন করে পুলিশ এবং কাজগুলো সম্পন্ন করতে ৯০ দিন সময় দেওয়া হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- অতিরিক্ত স্বরাষ্ট্র সচিব (জননিরাপত্তা বিভাগ) আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিএনসি) মোহাম্মদ ইকবাল, সাবেক বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ হারুন চৌধুরী, পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক শেখ সাজ্জাদ আলী ও মো. গোলাম রসুল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক শাহনাজ হুদা, মানবাধিকার কর্মী এ এস এম নাসিরউদ্দিন এলান ও ছাত্র প্রতিনিধি।