04/10/2025 পিনাকীসহ ২জনের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় অব্যাহতি
odhikarpatra
৩১ অক্টোবর ২০২৪ ১৮:৩১
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য ও ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মফিজুর রহমান আশিককে অব্যাহতি দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
গত ৯ অক্টোবর ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক নূরে আলম মামলাটির অভিযোগ পত্র গ্রহণ না করে এ আদেশ দেন। আজ বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. রফিকুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ৯ অক্টোবর এ মামলাটির অভিযোগপত্র গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে বিচারক অভিযোগ পত্র পর্যালোচনা শেষে অপরাধ আমলে না নিয়ে পিনাকীসহ দুজনকে অব্যাহতি দেন।
২০২২ সালের ১৫ অক্টোবর ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) বিভাগের উপ-পরিদর্শক এম আব্দুল্লাহিল মারুফ রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চক্রান্তে জড়িত থাকার অভিযোগে পিনাকী ভট্টাচার্যসহ তিনজনের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে রাজধানীর রমনা থানায় এ মামলা করেন। এ মামলায় পিনাকী ছাড়াও মফিজুর রহমান ও মুশফিকুল ফজল আনসারীকে আসামি করা হয়। তদন্ত শেষে গত ৭ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সিটিটিসি উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ রাহাত হোসেন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে পিনাকীসহ দুজনকে অভিযুক্ত করা হয়।
অপর আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার উপপ্রেস সচিব মুশফিকুল ফজল আনসারীকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতির আবেদন করা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া একটি পোস্ট ২০২২ সালের ১৪ অক্টোবর নজরে আসে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম বিভাগের। ওই পোস্টে পুলিশ সদস্যদের সম্পর্কে বিকৃত তথ্য প্রচারের অভিযোগ আনা হয়। ওই ফেসবুক পোস্টের সূত্র ধরে ওই বছরের ১৫ অক্টোবর পল্লবীর বাসা থেকে মফিজুর রহমানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে পুলিশ মফিজুরের দুটি মুঠোফোন জব্দ করে। সিটিটিসি’র সিটি ইন্টেলিজেন্স অ্যানালাইসিস বিভাগের উপপরিদর্শক কে এম আব্দুল্লাহিল মারুফ মামলায় অভিযোগ করেন যে, আসামি মফিজুর রহমান তার ভুয়া ফেসবুক আইডির মেসেঞ্জারের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এই তালিকায় আছেন পিনাকী ভট্টাচার্য ও মুশফিকুল ফজল আনসারী। মিরপুরে পুলিশ বাহিনীর একটি অভিযানের ঘটনাকে বিকৃতভাবে প্রচার করা হয়। সেই তথ্য ও ছবি পিনাকী ভট্টাচার্যের ফেসবুক মেসেঞ্জারে পাঠানো হয় বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।