04/19/2025 হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া হত্যায় ইসরাইলের ’নির্লজ্জ স্বীকারোক্তির’ তীব্র নিন্দা ইরানের
odhikarpatra
২৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৬:৪৫
ইসরাইল হামাসের সাবেক প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার দায় স্বীকার করার পর তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে মঙ্গলবার ইরান এটিকে ইসরাইলের ’নির্লজ্জ স্বীকারোক্তি’ বলে অভিহিত করেছে ।
জাতিসংঘ থেকে এএফপি এ খবর জানায় ।
ইরান এটিকে 'জঘন্য অপরাধ' আখ্যা দিয়ে এর প্রতিক্রিয়ায় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ন্যায্যতাও দাবি করেছে। এ বছরের শুরুর দিকে তেহরানে হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে হত্যা অভিযোগে ইরান ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।
জাতিসংঘে ইরানের রাষ্ট্রদূত আমির সাঈদ ইরাভানি জাতিসংঘ মহাসচিবকে লেখা এক চিঠিতে বলেছেন, ’এই ’নির্লজ্জ স্বীকারোক্তির মাধ্যমে এটা প্রমাণিত হয়েছে যে, এই হত্যাকাণ্ডের দায় সুম্পূর্ণভাবে ইসরাইলের। এবং কাৎজের বক্তব্যে প্রমাণ হয় যে ইরান প্রতিশোধ হিসেবে ইসরাইলে হামলা চালিয়ে সঠিক কাজই করেছে।
সোমবার ইসরাইলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ স্বীকার করেন যে তার দেশ ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার জন্য দায়ী। প্রথমবারের মতে তিনি প্রকাশ্যে একথা স্বীকার করেন।
এ বছরের ৩১শে জুলাই তেহরানের একটি গেস্ট হাউসে হানিয়াকে হত্যা করা হয়। ইসরাইলি এজেন্টরা সপ্তাহ আগে একটি বিস্ফোরক ডিভাইস স্থাপন করে এই হত্যাকাণ্ড ঘটায়।
ইরান এই ঘটনার জন্য প্রথম থেকেই ইসরাইলকে দায়ী করে এলেও সোমবারের আগ পর্যন্ত ইসরাইল হানিয়াকে হত্যার দায় স্বীকার করেনি।
ইরান অক্টোবরে ইসরাইলের দিকে প্রায় ২০০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে, যা হানিয়া হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে দেখা হয়। তবে ইসরাইল দাবি করেছে যে তারা তাদের নিজস্ব আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং মিত্রদের বিমান বাহিনীর দ্বারা বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করেছে।
মঙ্গলবার ইরানের রাষ্ট্রদূত ইরাভানি হানিয়াকে ইসরাইলের হত্যা ’জঘন্য সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ হিসেবে অভিহিত করেন এবং বলেন কাৎজের বক্তব্যে প্রমাণ হয় যে ইরান প্রতিশোধ হিসেবে ইসরাইলে হামলা চালিয়ে সঠিক কাজ করেছে।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর ইসরাইল হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহকে বৈরুতে বোমা হামলায় হত্যা করে। এর পরে গাজায় ১৬ অক্টোবর হানিয়ার উত্তরসূরি ইয়াহিয়া সিনওয়ারকেও হত্যা করা হয়।
ইসরাইয়েলের কর্মকর্তারাদের অভিযোগ সিনওয়ার ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের হামলার মূল পরিকল্পনাকারী। এ হামলা গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধের সূত্রপাত করে। যুদ্ধে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে এবং ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের অনেকাংশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।