ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেছেন, বাঙালির জীবন প্রবাহের সাথে ষড়ঋতুর বৈচিত্র্যপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। এটা একটা প্রগাঢ় বন্ধনের মতো, কখনোই তা বিচ্ছিন্ন হওয়ার নয়।

সোমবার ( ১৭ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত বসন্ত উৎসব এ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাঙালির মানুষ গঠনেও এই ষড়ঋতুর প্রভাব রয়েছে। ষড়ঋতুর উপর ভিত্তি করে অনেক সময়ই আমাদের জীবন প্রণালি পরিবর্তিত হয়। তার মতে,আমরা কিছুটা বা ক্লীষ্ট, বসন্তে উদ্‌যাপিত, গ্রীষ্মে উদাস, বর্ষায় স্নাত , শরতে প্রস্ফুটিত ও হেমন্তে উদ্বেলিত ধানের গানে। তিনি বলেন, ঋতুর এই বৈচিত্র্যময় আবহ পৃথিবীর কোথাও নেই বলেই প্রতীয়মান হয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের লোকজ শিল্প উজ্জীবিত হয়েছে এই ঋতু বৈচিত্র্যে। আমাদের যে জারি, শারি, বাউল গান সবকিছুর মূলসুর এখান থেকেই।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মো. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন   উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. এম এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গির আলম এবং কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ এমতাজ হোসেন। বক্তব্য রাখেন বাংলা বিভাগের প্রফেসর ড. সরওয়ার মুর্শেদ, অধ্যাপক  গাজী মাহবুব মুর্শিদ, প্রফেসর ড. রাশিদুজ্জামান প্রমুখ। প্রো ভাইস চ্যান্সেলর  প্রফেসর ড. এম এয়াকুব আলী বলেন, “ঋতুরাজ বসন্ত প্রকৃতিতে নতুন পরিবর্তন আনে। বসন্ত যেমন প্রকৃতিকে নব রূপে সাজায়, তেমনি আমাদেরও সমাজকে ইতিবাচক পরিবর্তনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে।”

ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর  ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, “বসন্ত বাঙালির জীবনে এক নতুন প্রভাতের বার্তা নিয়ে আসে। আমাদের ষড়ঋতুর বৈচিত্র্য পৃথিবীর আর কোথাও নেই। ঋতুচক্রের সঙ্গে আমাদের জাতির সংযোগ রয়েছে।”

তিনি বলেন, আমাদের জীবন বসন্তের ফুলের মতো পুষ্পিত হোক এটাই প্রত্যাশা।"

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলা বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. রবিউল হক, সঞ্চালনা করেন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তিয়াশা চাকমা।