03/12/2025 চট্টগ্রামে পৃথক অগ্নিকাণ্ডে ৩৬ দোকান-ঘর পুড়ে ছাই
odhikarpatra
৯ মার্চ ২০২৫ ১৯:১২
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি ও চন্দনাইশে পৃথক অগ্নিকাণ্ডে ৩৬টি দোকান ও বসতঘর পুড়ে ছাই হয়েছে। ফটিকছড়িতে ভাড়া বাসার গ্যাস সিলিন্ডার থেকে এবং চন্দনাইশে চায়ের দোকানের চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানিয়েছে।
রোববার (৯ মার্চ) ফটিকছড়ি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন চৌধুরী জানান, শনিবার (৮ মার্চ) দিবাগত রাতে উপজেলার শান্তিরহাট বাজার এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস।
ফটিকছড়ির শান্তিরহাট বাজার এলাকার জলিল সওদাগরের ভাড়া বাসার গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তে তা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
ফায়ার সার্ভিস স্টেশন কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘খবর পেয়ে দ্রুত দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে ২ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে। এর আগে জালাল সওদাগরের ৪টি, শেখ আহমদের ২০টি, দেলোয়ারের ২টি এবং আক্কাসের ৪টি ঘর সহ ৩০টি দোকান ও ঘর পুড়ে গেছে।’
ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে।’
এদিকে চন্দনাইশ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ওয়ার হাউজ ইন্সপেক্টর মো. কামরুল হাসান জানান, রবিবার (৯ মার্চ) ভোররাত ৪টার দিকে চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী পৌর এলাকায় আগুনে ছয়টি দোকান পুড়ে ছাই হয়েছে। পৌর এলাকার হাজারী বাড়ি গলিতে এই ঘটনা ঘটে।
ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন- জাহাঙ্গীর আলমের পানাহার রেস্তোরাঁ, মো. আলী আকবরের আলী ঝাল বিতান এন্ড কুলিং কর্নার, নুরুল মোস্তফার পান ও বেকারি দোকান, নাছির উদ্দীনের তামিম কুলিং কর্ণার, অঞ্জন পালের পাল স্টোর- মুদি দোকান, আবদুর রশিদের পানের দোকান এবং মনোজ সিংহ হাজারীর নির্মাণাধীন দোকান।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের চন্দনাইশের দুটি এবং সাতকানিয়ার একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহায়তায় প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নেভাতে সক্ষম হয়।
ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসান জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে চায়ের দোকানের চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে।