04/20/2025 ক্যামেরুনে গেরিলা যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা
Mahbubur Rohman Polash
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ২৩:৩৩
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ভিক্টর ওবির বিশ্বাসে চিড় ধরেছে। শান্তিপ্রিয় তরুণটি এই প্রথম বিশ্বাস করছে যে বন্দুকের মাধ্যমেই ক্যামেরুনে সত্যিকার অর্থে স্বাধীনতা আনতে হবে। এই ছাত্র বলেন, ‘আমি মরতে চাই না। কিন্তু স্বাধীনতা ছাড়া আমাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যত সম্ভব নয়। যুদ্ধ ছাড়া তারা আমাদের স্বাধীনতা দেবে না।’ তরুণটির নিরাপত্তার স্বার্থে তার আসল নাম প্রকাশ করা হয়নি।
২৫ বছর বয়সী এই যুবক এখন নাইজেরিয়ার একটি ছোট গ্রামে বাস করছে। তার গ্রামের বাড়ি থেকে জায়গাটি মাত্র কয়েক কিলোটিমার দূরে। সরকারি বাহিনী তার গ্রামে ইংরেজী ভাষাভাষী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ওপর কঠোর দমন অভিযান চালায়। তীব্র ঘৃণার সঙ্গে সে বলে, ‘তারা আমার বোন ও ভাইকে মেরে ফেলেছে। তাই আমার আর হারাবার কিছুই নেই।’ ওবি আরো বলে, ডিসেম্বর মাসে সৈন্যরা তার নিজ শহর কাজিফুতে প্রবেশ করে সন্দেহভাজন বিচ্ছিন্নতাবাদীদের লক্ষ্য করে করে নির্বিচারে গুলি চালাতে থাকে।
সরকারি বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়, গ্রামের চারপাশের ঘন জঙ্গলে একটি বড় ধরণের গেরিলা প্রশিক্ষণ শিবির পরিচালনা করা হচ্ছে। ক্যামেরুনে দুটি ইংরেজি ভাষাভাষী অঞ্চলের মধ্যে কাজিফু একটি। স্থানীয় বাসিন্দারা ফরাসী ভাষাভাষী অভিজাত শ্রেণীর কাছ থেকে স্বাধীনতা চাইছে। তারাই দেশটিকে শাসন করছে।
১ অক্টোবর বিচ্ছিন্নতাবাদীরা ইংরেজী ভাষাভাষী অঞ্চল দুটিকে ‘অ্যাম্বাজোনিয়া’ প্রজাতন্ত্র হিসেবে ঘোষণা করেছে। ক্যামেরুনের মোট জনসংখ্যার প্রায় এক পঞ্চমাংশ ইংরেজিতে কথা বলে। ক্যামেরুনের প্রেসিডেন্ট পল বাইয়া বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নির্মূলের জন্য সৈন্য, জঙ্গি বিমান ও সাঁজোয়া যান পাঠিয়েছেন। এতে হাজার হাজার মানুষ পার্শ্ববর্তী নাইজেরিয়ায় আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়।
সহিংসতায় অন্তত ২৬ সৈন্য নিহত হয়েছে । তবে এই অভিযানে কতজন বেসামরিক লোক প্রাণ হারিয়েছে তা জানা যায়নি। বেসরকারি সংস্থা ও নিরপেক্ষ গণমাধ্যমকে ওই অঞ্চলে ঢুকতে দেয়া হয়নি।-খবর বার্তা সংস্থা এএফপি