05/04/2025 ইবিতে সাংবাদিককে পেশাগত দায়িত্ব পালনে বাধা, অভিযোগ একাধিক সহ-সমন্বয়কের বিরুদ্ধে
odhikarpatra
৩০ এপ্রিল ২০২৫ ২২:২৯
ইবি প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দৈনিক বাংলা'র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটির দপ্তর সম্পাদক সাকিব আসলামকে পোশাগত দায়িত্ব পালনকালে বাধা ও হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে একাধিক ইবি শাখা সহ-সমন্বয়কের বিরুদ্ধে।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) দিবাগত রাতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রলীগের কার্যালয় ভাঙ্গার পর জুলাই আন্দোনকারীদের ‘দুর্বৃত্ত’ আখ্যা দেওয়ার অভিযোগে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ক্যাম্পাস সাংবাদিক ওয়াসিফ আল আবরারকে শাহ আজিজুর রহমান হলে মারধরে ঘটে। তার বিরুদ্ধে কলেজে থাকা অবস্থায় ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্টতার অভিযোগও তোলা হয়।
আবরার বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিউনিকেশন এন্ড মাল্টিমিডিয়া জার্নালিজম বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
মারধরের পর ওই সাংবাদিককে চিকিৎসার জন্য ইবি মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হলে সংবাদ সংগ্রহের জন্য মেডিকেলে যান সাংবাদিক সাকিব আসলাম। এসময় তাকে হেনস্তা করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। এসময় ইবি শাখা সহ-সমন্বয়ক নাহিদ হাসান, ইসমাইল হোসেন রাহাত, তৌহিদ ইসলাম, সায়েম আহমেদ শিক্ষার্থী নূর আলম সহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
হেনস্তার শিকার ওই সাংবাদিক বলেন, ‘মারামারির পর আমি সংবাদ সংগ্রহের জন্য মেডিকেলে গিয়েছিলাম ডাক্তারের বক্তব্য নেওয়ার জন্য। এসময় তারা আমার দিকে তেড়ে এসে নানা ভাবে আমাকে হুমকি ও গায়ে হাত তোলে। পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে আমাকে হেনস্তা করেন তারা। এবং লাঞ্চনা ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। পরবর্তীতে আমাকে ডাক্তারের বক্তব্য নিতে দেয়নি তারা। একই সাথে আমার সংগঠন ‘কিভাবে চলে দেখব’ বলে হুমকি দেন তারা। আমি এমন অবস্থায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ক্যাম্পাসে প্রক্টর স্যার না থাকায় এই ঘটনার প্রেক্ষিতে লিখিত অভিযোগ দেয়ার সুযোগ হয়নি। তবে স্যারের সাথে কথা বলেছি। আগামীকাল অভিযোগ নিবেন বলেছেন।’
ইবি সহ সমন্বয়ক একাউন্টিং বিভাগের তৌহিদুল ইসলাম ওই সাংবাদিকে বলেন, ‘তোর নেতৃত্বে এই মারামারি হয়েছে। তোমার নেতৃত্বে হত্যার উদ্দেশ্যে হমলা করা হয়েছে। তুই ছাত্রলীগের দোসর।’
মেডিকেল সেন্টারে ডাক্তারের বক্তব্য নিতে গেলে ইবি সহ সমন্বয়ক রাহাত ইসমাইল বাধা দিয়ে বলেন, ‘আপনি ভিতরে ঢুকতে পারবেন না। আমি রাহাত বলছি আপনি ঢুকতে পারবেন না। ও এখানে আইছে কে?’
এসময় জার্নালিজম বিভাগের ২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নূর-ই-আলম মারমুখী হয়ে বলেন, ‘বের হ তুই, ও লিড দিয়ে মারছে। ওর নেতৃত্বে আবরারকে রুম থেকে বের করেছে।’
এসময় ওই সাংবাদিককে (সাকিব আসলাম) হেনেস্তা ও গায়ে হাত তুলার ধারণকৃত ভিডিও প্রতিনিধির কাছে সংরক্ষিত আছে।
এসময় ইবি সহ সমন্বয়ক নাহিদ হাসান বলেন, ‘ওই রিপোর্টার্স ইউনিটি কিভাবে থাকে আমি দেখে নেব। 'ওই তিতলি ছাত্রলীগের দোসর। তিতলিকে যদি প্রমাণ করতে না পারি ও ছাত্রলীগের নেত্রী তাহলে আমি ক্যাম্পাস থেকে চুড়ি পড়ে বের হয়ে যাবো। এসময় তিনি ওই সাংবাদিককে হেনেস্তা করে বলেন, তুই মারার পর ক্যামেরার ভয় দেখাস। ওর ক্যামেরা ভেঙে ফেল।’
এসময় ইবি সহ সমন্বয়ক সায়েম আহমেদ ওই সাংবাদিককে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘কতো বড় সাহস তুই এখানে আসছিস।’
হেনেস্তার শিকার দৈনিক বাংলা’র ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি সাকিব আসলাম জানান, পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে আমাকে হেনস্তা করেন তারা। এবং লাঞ্চনা ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। পরবর্তীতে আমাকে ডাক্তারের বক্তব্য নিতে দেয়নি তারা। একই সাথে আমার সংগঠন কিভাবে চলে বলে হুমকি দেন।
মো. সামিউল ইসলাম
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া