09/13/2025 ফিলিস্তিন রাষ্ট্র হবে না”— জেরুজালেমের পাশে বসতি থেকে নেতানিয়াহুর ঘোষণা
odhikarpatra
১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২৩:৫৬
আন্তর্জাতিক ডেস্ক | অধিকার পত্র ডটকম
পূর্ব জেরুজালেমের মালে আদুমিম বসতিতে দাঁড়িয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বললেন, “এই ভূমি আমাদের” — এবং ঘোষণা দিলেন, “আমরা কোনও ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের অনুমতি দেব না।” তার এ বক্তব্য নতুন করে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।
মধ্যপ্রাচ্য সংকটে নতুন উত্তেজনা:
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আবারও সরাসরি ঘোষণা দিয়েছেন যে তিনি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের ধারণাকে নাকচ করে দিচ্ছেন। পূর্ব জেরুজালেমের অবৈধ বসতি মালে আদুমিমে সফরের সময় তিনি বলেন:
“আমরা কোনও ফিলিস্তিন রাষ্ট্র না থাকার প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে চলেছি। এই ভূমি আমাদের।”
নেতানিয়াহুর এই বক্তব্য আসে এমন এক সময়, যখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের একটি বড় অংশ ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে অবস্থান নিচ্ছে।
কিন্তু তিনি ফিলিস্তিনিদের জন্য স্বাধীন রাষ্ট্রের সম্ভাবনা সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করে বললেন:
“আমি এখানে এসেছি মালে আদুমিমে, যাতে আমি একটি পরিষ্কার বার্তা দিতে পারি: এই ভূমি চিরকাল ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েলেরই থাকবে।"
নেতানিয়াহুর এ বক্তব্যের পরপরই মধ্যপ্রাচ্য বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি কেবল ফিলিস্তিনিদের প্রতি চরম অবজ্ঞা নয়, বরং আন্তর্জাতিক কূটনীতির ওপরও সরাসরি আঘাত।
মালে আদুমিম বসতিটি পশ্চিম তীরের একটি প্রধান ইসরায়েলি বসতি, যা আন্তর্জাতিক আইনে অবৈধ হিসেবে বিবেচিত।
নেতানিয়াহু এই জায়গায় দাঁড়িয়ে বক্তব্য দিয়ে কার্যত আন্তর্জাতিক আইন ও শান্তি প্রক্রিয়ার প্রতি বিদ্রূপপূর্ণ বার্তা দিয়েছেন।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ নেতানিয়াহুর বক্তব্যকে ‘উসকানিমূলক’ ও ‘চূড়ান্ত দখলবাদের ঘোষণা’ বলে আখ্যায়িত করেছে।
পিএলও’র এক মুখপাত্র বলেন:
“নেতানিয়াহু শান্তির পথে প্রতিটি দরজা বন্ধ করে দিচ্ছেন। এটা সরাসরি জাতিসংঘের প্রস্তাব ও আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন।”
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর “কোনো ফিলিস্তিন রাষ্ট্র হবে না” — এই ঘোষণা মধ্যপ্রাচ্যের দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতকে আরও জটিল করে তুলেছে। বিশ্ব সম্প্রদায়ের দায়িত্ব এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি—শান্তি প্রতিষ্ঠার বাস্তবসম্মত ও ন্যায়সঙ্গত উপায় খুঁজে বের করা।