09/13/2025 বাংলাদেশে ডিজিটাল শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি: নতুন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জ
odhikarpatra
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৭:৫৮
ঢাকা (অধিকার পত্র): বাংলাদেশের শিক্ষাক্ষেত্রে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার ক্রমেই বেড়ে চলেছে। একদিকে যেমন এটি শিক্ষার গুণগত মান উন্নত করতে সাহায্য করছে, তেমনি অন্যদিকে কিছু চ্যালেঞ্জও তৈরি হচ্ছে। তবে, সরকার ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এ সমস্যা সমাধানে নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
বর্তমানে, বাংলাদেশে প্রায় ৮০% শিক্ষার্থী ইন্টারনেট ব্যবহার করে পড়াশোনা করছে। দেশে শিক্ষার ডিজিটালাইজেশনের অন্যতম বড় উদাহরণ হিসেবে উঠে এসেছে “বিকাশ” এবং “নেক্সটজেন”-এর মতো প্ল্যাটফর্মগুলি, যা ডিজিটাল শিক্ষা, অনলাইন কোর্স এবং ভার্চুয়াল ক্লাসের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সহজে পাঠদানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে।
সরকারের পক্ষ থেকে জাতীয় ডিজিটাল শিক্ষা উদ্যোগ শুরু করা হয়েছে, যার আওতায় দেশের প্রতিটি বিদ্যালয়ে ডিজিটাল ক্লাসরুম প্রতিষ্ঠিত হবে। এছাড়াও, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গুগল ক্লাসরুম, মুডল এবং শিক্ষা পোর্টাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কাছে শিক্ষাকে আরও সহজলভ্য এবং উপযোগী করে তোলা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি অধিদপ্তর এবং শিক্ষামন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে “ই-লার্নিং” ও “ডিজিটাল পাঠ্যবই” প্রচার করা হচ্ছে, যা শিক্ষার্থীদের জন্য আরও কার্যকর শিক্ষার সুযোগ তৈরি করছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মধ্যে দেশের ৫০% বিদ্যালয় ডিজিটালাইজড হবে এবং ইন্টারনেট সংযোগ প্রদান করা হবে।
তবে, ডিজিটাল শিক্ষার পথ মসৃণ নয়। বাংলাদেশে অনেক এলাকা এখনো ইন্টারনেট সুবিধা পায় না এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর অবকাঠামোগত সংকট রয়েছে। এছাড়া, অনেক শিক্ষকের ডিজিটাল দক্ষতার অভাবও একটি বড় সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডিজিটাল শিক্ষার সফল প্রয়োগের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা নিশ্চিত করা। ডিজিটাল শিক্ষার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করা এবং শিক্ষকদের আধুনিক শিক্ষার উপকরণে দক্ষ করে তোলা প্রয়োজন।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ইতিমধ্যে তাদের অভ্যন্তরীণ নেটওয়ার্ক উন্নত করার চেষ্টা করছে, এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ডিজিটাল ক্লাস, সেমিনার এবং ওয়েবিনারের মাধ্যমে পাঠদান আরো সহজ ও গতিশীল করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে ডিজিটাল শিক্ষার প্রতি আগ্রহ বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন স্কলারশিপ এবং অনলাইন কোর্সেরও আয়োজন করা হচ্ছে।
ডিজিটাল শিক্ষার মাধ্যমে বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা আরও গ্লোবাল হবে এবং এটি সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণার জন্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার শিক্ষার্থীদের বিশ্বমানের শিক্ষার সুযোগ করে দিচ্ছে। পাশাপাশি, এটি দেশে ডিজিটাল দক্ষতা বৃদ্ধির জন্যও সহায়ক হবে।