09/14/2025 সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র : বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক কারাগারে
odhikarpatra
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২৩:৫৫
রাজধানীর মিন্টো রোডের মন্ত্রীপাড়ায় গাড়িতে করে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরির সময় গ্রেফতার বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক এনায়েত করিম চৌধুরীকে (৫৫) কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।
আজ শনিবার তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রমনা মডেল থানার উপপরিদর্শক মো. আজিজুল হাকিম।
এদিন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দিলরুবা আফরোজ তিথি তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।একই সঙ্গে রিমান্ড শুনানির জন্য ১৫ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন।
তার বিরুদ্ধে রমনা থানায় হওয়া সাধারণ ডায়েরি সূত্রে জানা যায়, শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে দশটায় রাজধানীর মিন্টো রোডের মন্ত্রীপাড়া এলাকায় প্রাডো গাড়ীতে আরোহণ করে সন্দেহজনক চলাচল করতে দেখা যায় আসামি এনায়েত করিম চৌধুরীকে। এসময় তার গাড়ি থামানো হয় এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি কোন সদুত্তোর দিতে না পারায় তাকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়।
তার কাছ থেকে প্রাপ্ত দুইটি আইফোন জব্দ করা হয়। প্রাথমিকভাবে তার ফোন বিশ্লেষণ করে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গিয়েছে।
তাকে জিজ্ঞাসাবাদে জানান যে, তিনি বাংলাদেশের বংশোদ্ভূত আমেরিকান নাগরিক। তিনি গত ৬ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা ৫০মিনিটে নিউইয়র্ক থেকে কাতার এয়ারওয়েজ যোগে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।
জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানান, তিনি বিশেষ একটি দেশের গোয়েন্দা সংস্থার চুক্তিভিত্তিক এজেন্ট। বর্তমানে বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালীন সরকার খুব নাজুক অবস্থায় আছেন এবং সেনাবাহিনীর সাথে তাদের দূরত্ব তৈরি হয়েছে।
তিনি বর্তমান সরকারকে পরিবর্তন করে নতুন জাতীয় সরকার বা তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের নিমিত্তে কাজ করার জন্য বাংলাদেশে এসেছেন বলে জানান।
গত ৬ ও ৭ সেপ্টেম্বর সোনারগাঁও হোটেলে অবস্থান করেন। পরবর্তীতে গুলশানের বর্তমান ঠিকানায় অবস্থান করতে থাকেন। ইতোমধ্যে তিনি সরকারি উচ্চ ও নীতি নির্ধারক পর্যায়ের একাধিক কর্মকর্তাদের সাথে এবং বিভিন্ন বাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়ী মহলের সাথে গোপন বৈঠক করেন বলে জানান।
তিনি আরো জানান, বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রতি আমেরিকান সরকার হতাশ।
আগামী ২১শে অক্টোবর সুপ্রীম কোর্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের রায় রহিত করবেন বলে জানান আসামি। তখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হলে তখন সেনাবাহিনী সমর্থিত নতুন জাতীয় সরকার অথবা তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হবে। নতুন এই সরকারে কারা অংশগ্রহণ করবেন এবং সরকার প্রধান কে হবেন তা আমেরিকা নির্ধারণ করে দিবেন বলে জানান।
তিনি বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটের আলোকে সরকারি ও বেসরকারি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বর্তমান অবস্থান এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের তথ্য সংগ্রহ করে তাকে নিয়ন্ত্রিত গোয়েন্দা সংস্থার নিকট হস্তান্তর করতেন বলে জানান।