ঢাকা, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ (অধিকার পত্র ডটকম):
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম ঘোষণা করেছেন যে, ডিসেম্বর ২০২৫ এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই ঘোষণা এসেছে শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবিতে অনশনরত অধ্যয়নের এক অংশ হিসেবে।
????️ ঘটনার সারসংক্ষেপ
- মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলাপকালে উপাচার্য জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ইউজিসি-সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ চলছে।
- শিক্ষার্থীরা একটি লিখিত রোডম্যাপ দাবি করলে, উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় নীতিমালা (বিধি) ইতিমধ্যে পাঠানো হয়েছে এবং অনুমোদন হলে রোডম্যাপ প্রকাশ করা হবে। অনুমোদিত বিধি ভিত্তিতে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব হবে।
- শিক্ষার্থীর অঙ্গীকারবদ্ধ দাবি রয়েছে:
- রোডম্যাপ ঘোষণা করা হবে।
- ভোটার তালিকা প্রস্তুত করা হবে।
- নির্বাচনের আইন বা নিয়মাবলী (নীতিমালা / সংবিধি) অনুমোদন হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দিক থেকে।
⚠️ চলমান চ্যালেঞ্জ ও শিক্ষার্থীদের দাবি
- নীতিমালা অনুমোদন প্রক্রিয়া এখনো সম্পূর্ণ হয়নি; অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
- শিক্ষার্থীরা একটি স্পষ্ট সময়সীমা চান রোডম্যাপ প্রকাশ ও ভোটার তালিকা প্রস্তুত করার জন্য।
- অন্যান্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে: সম্পূরক বৃত্তি কার্যকর করার তারিখ নির্ধারণ, ক্যাফেটেরিয়ায় খাবারের মান উন্নয়ন, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি এবং শিক্ষা ও ছাত্রজীবনের অন্যান্য মৌলিক বিষয়।
???? প্রভাব ও গুরুত্ব
- এই ঘোষণাটি শিক্ষার্থীদের বিশ্বাস বাড়াতে পারে যে তাদের আন্দোলন এবং দাবি গুরুত্ব পাচ্ছে এবং প্রশাসন বিষয়টি গম্ভীরভাবে বিবেচনা করছে।
- যেকোনো নির্বাচনের জন্য রোডম্যাপ ও নীতিমালা থাকা সুসংগঠিত নির্বাচন প্রক্রিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ, এর ফলে নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত হবে।
- নির্বাচনের সময়সীমা (ডিসেম্বর) নির্ধারণ করলে শিক্ষার্থীরা সময় মতো প্রস্তুতি নিতে পারবে; ভোটার তালিকা ও মনোনয়ন-প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও প্রস্তুত হবে।