09/17/2025 চট্টগ্রামে র্যাব-৭ এর অভিযানে অবৈধতা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ
odhikarpatra
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৭:৩৯
চট্টগ্রামে র্যাব-৭, সিপিসি-৩ এর কথিত অবৈধ অভিযান, সাজানো ইয়াবা মামলা ও প্রায় ২০ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন (আইএইচআরসি) বাংলাদেশ চ্যাপ্টার।
বুধবার বিকেল ২টা ৩০ মিনিটে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন আইএইচআরসি বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সভাপতি এম এ হাশেম রাজু।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ১২ জুন ২০২৫ তারিখে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া থানার ধর্মপুর এলাকার প্রবাসফেরত ব্যবসায়ী আইয়ুব আলীর বাসায় র্যাব-৭, সিপিসি-৩ এর একটি টিম অবৈধ অভিযান চালায়। অভিযানে তল্লাশির নামে বাসার জিনিসপত্র তছনছ করা হয়, পরিবারকে হেনস্তা করা হয় এবং ঘরে থাকা ৩৩ লক্ষ টাকার মধ্যে ২০ লক্ষ ৫৬ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাৎ করা হয়।
অভিযোগে বলা হয়, পরদিন আইয়ুব আলীর বিরুদ্ধে সাজানো মামলায় মাত্র ২২৩ পিস ইয়াবা দেখানো হয়। অথচ এর কোনো প্রমাণ, ভিডিও বা সাক্ষ্য পাওয়া যায়নি। এছাড়া অভিযানে নারী পুলিশ ছাড়াই আইয়ুব আলীর স্ত্রীকে অশোভন আচরণের শিকার হতে হয় বলে দাবি করা হয়।
আইএইচআরসি’র পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, সাতকানিয়ার স্থানীয় যুবলীগ নেতা শহিদুল ইসলাম বাবু ও তার সহযোগীরা ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক শত্রুতার কারণে র্যাব সদস্যদের প্রভাবিত করে এই ষড়যন্ত্রে যুক্ত হন। বাবুর বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা, অর্থ পাচার এবং অবৈধ প্রভাব খাটানোর অভিযোগও উত্থাপন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত আইয়ুব আলী বলেন, “আমি একজন প্রবাসফেরত সাধারণ ব্যবসায়ী। কিন্তু ব্যক্তিগত বিরোধকে কেন্দ্র করে আমাকে সাজানো মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। আমি চাই সত্য উদঘাটন হোক এবং ন্যায়বিচার পাওয়া যাক।”
আইএইচআরসি’র পক্ষ থেকে নিম্নোক্ত দাবিগুলো জানানো হয়—
১. ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত।
২. আত্মসাৎ হওয়া টাকা ফেরত।
৩. সাজানো মামলা প্রত্যাহার।
৪. আইয়ুব আলীর স্ত্রীকে হেনস্তার ঘটনায় দায়ীদের বিচার।
৫. ভুক্তভোগী পরিবারকে নিরাপত্তা প্রদান।
৬. র্যাবের সংশ্লিষ্ট সদস্যদের শাস্তি নিশ্চিতকরণ।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আইএইচআরসি’র আইনজীবী মো. আব্দুল মোমেন চৌধুরী, মানবাধিকার কর্মী প্রফেসর ড. মালেক কাজী, প্রফেসর ড. ফেরদৌস আরা খান, এস এম ফরিদ, মো. কামাল উদ্দিনসহ ভুক্তভোগী আইয়ুব আলী, তার স্ত্রী লুৎফুন্নেছা গোলাপ ও বড় ছেলে তারিকুল ইসলাম ফয়সাল।