09/21/2025 শ্রীলংকাকে হারিয়ে সুপার ফোর শুরু বাংলাদেশের
odhikarpatra
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২৩:৫৫
অধিকারপত্র ডটকম :
বাংলাদেশের দুই ব্যাটার সাইফ হাসান ও তাওহিদ হৃদয়ের জোড়া হাফ-সেঞ্চুরিতে দুর্দান্ত জয় দিয়ে এশিয়া কাপের সুপার ফোর শুরু করল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।
আজ সুপার ফোরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ ৪ উইকেটে হারিয়েছে শ্রীলংকাকে। প্রথমে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ১৬৮ রান করে শ্রীলংকা। জবাবে সাইফের ৪৫ বলে ৬১ এবং হৃদয়ের ৩৭ বলে ৫৮ রানের সুবাদে ১ বল বাকী রেখে জয়ের স্বাদ নেয় বাংলাদেশ।
দুবাইয়ে টস জিতে শ্রীলংকাকে ব্যাট করতে পাঠায় বাংলাদেশ। উদ্বোধনী জুটিতে ৫ ওভারে ৪৪ রান তুলে বিচ্ছিন্ন হন লংকান দুই ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা ও কুশাল মেন্ডিস। ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ১৫ বলে ২২ রান করা নিশাঙ্কাকে শিকার করে বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন পেসার তাসকিন আহমেদ।
তাসকিনের প্রথম আঘাতের পর বাংলাদেশকে জোড়া উইকেট উপহার দেন স্পিনার মাহেদি হাসান। ১টি চার ৩টি ছক্কায় ২৫ বলে ৩৪ রান করা কুশাল মেন্ডিসকে এবং কামিল মিশারাকে ৫ রানে বিদায় দেন মাহেদি।
৬৫ রানে ৩ উইকেট পতনের পর চতুর্থ উইকেটে ২৭ বলে ৩২ রানের জুটি গড়েন কুশাল পেরেরা ও দাসুন শানাকা। উইকেটে সেট হওয়া এই জুটি ভাঙ্গেন পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। কুশাল পেরেরাকে ১৬ রানে আউট করেন ফিজ।
দলীয় ৯৭ রানে কুশাল পেরেরা ফেরার পর অধিনায়ক চারিথ আসালঙ্কাকে নিয়ে দ্রুত রান তুলেন দাসুন শানাকা। তাদের ২৭ বলে ৫৭ রানের জুটিতে ১৮ ওভারে ১৫৪ রান তুলে শ্রীলংকা।
১৯তম ওভারে মাত্র ৫ রানে ৩ উইকেট হারায় শ্রীলংকা। মুস্তাফিজের করা ওভারের প্রথম বলে ১২ বলে ২১ রান করে রান আউট হন আসালঙ্কা। এরপর চতুর্থ বলে কামিন্দু মেন্ডিসকে ১ রানে ও শেষ ডেলিভারিতে হাসারাঙ্গা ডি সিলভাকে ২ রানে শিকার করেন ফিজ।
ইনিংসের শেষ ওভারে তাসকিনের প্রথম বলে বাউন্ডারি ও শেষ বলে ওভার বাউন্ডারি মেরে ১০ রান তুলে শ্রীলংকাকে লড়াকু পুঁজি এনে দেন শানাকা। ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৬৮ রান করে লংকানরা। ৩টি চার ও ৬টি ছক্কায় ৩৭ বলে ৬৪ রানে অপরাজিত থাকেন শানাকা।
বাংলাদেশের মুস্তাফিজ ২০ রানে ৩ উইকেট নেন। এতে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের তালিকায় সাকিব আল হাসানকে স্পর্শ করলেন মুস্তাফিজ। সাকিব ১২৯ ম্যাচে এবং মুস্তাফিজ ১১৭ ম্যাচে সমান ১৪৯টি উইকেট নিয়েছেন।
এছাড়া মাহেদি ২৫ রানে ২টি ও তাসকিন ৩৭ রানে ১টি উইকেট নেন।
জবাবে প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে তানজিদ হাসানকে হারায় বাংলাদেশ। ২ বল খেলে শূন্য হাতে ফিরেন তিনি।
এরপর অধিনায়ক লিটন দাসের সাথে ৩৪ বলে ৫৯ রানের জুটি গড়েন আরেক ওপেনার সাইফ। ৩টি চারে ১৬ বলে ২৩ রানে থামেন লিটন। এই ইনিংস খেলার পথে সাকিব আল হাসানকে টপকে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের মালিক হন তিনি।
দলীয় ৬০ রানে লিটনের আউটের পর তৃতীয় উইকেটে তাওহিদ হৃদয়কে নিয়ে ৪৫ বলে ৫৪ রান যোগ করেন সাইফ। টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় হাফ-সেঞ্চুরি তুলে ৬১ রানে থামেন সাইফ। তার ৪৫ বলের ইনিংসে ২টি চার ও ৪টি ছক্কা ছিল।
১১৪ রানে সাইফ ফেরার পর বাংলাদেশকে জয়ের পথে নেন হৃদয় ও শামীম হোসেন। চতুর্থ উইকেটে ২৭ বলে ৪৫ রানের জুটি গড়েন তারা। দলের জয় থেকে ১০ রান দূরে থাকতে আউট হন হৃদয়। টি-টোয়েন্টিতে চতুর্থ হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নিয়ে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ৩৭ বলে ৫৮ রান করেন হৃদয়।
শেষ ওভারের জয়ের জন্য ৫ রান দরকার পড়ে বাংলাদেশের। শানাকার করা ওভারের প্রথম বলে চার মেরে স্কোর সমান করেন জাকের। কিন্তু পরের ৩ বলে ২ উইকেট পতনে চিন্তায় পড়ে যায় বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ওভারের পঞ্চম বলে ১ রান নিয়ে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেন নাসুম আহমেদ।
শামিম হোসেন ১৪ ও নাসুম ১ রানে অপরাজিত থাকেন। শ্রীলংকার হাসারাঙ্গা ও শানাকা ২টি করে উইকেট নেন।
আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর সুপার ফোরে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
শ্রীলংকা : ১৬৮/৭, ২০ ওভার (শানাকা ৬৪*, মেন্ডিস ৩৪, মুস্তাফিজ ৩/২০)।
বাংলাদেশ : ১৬৯/৬, ১৯.৫ ওভার (সাইফ ৬১, হৃদয় ৫৮, শানাকা ২/২১)।
ফল : বাংলাদেশ ৪ উইকেটে জয়ী।