10/15/2025 মার্কিন নাগরিক এনায়েত করিমের সহযোগিতায় জাপা নেতা কাজী মামুন গ্রেপ্তার
odhikarpatra
২৯ September ২০২৫ ২২:৪০
অধিকার পত্র ডেস্ক:
রাজধানীর মিন্টো রোডে ‘সন্দেহজনক কার্যক্রমে’ গ্রেপ্তার মার্কিন নাগরিক এনায়েত করিম চৌধুরীর সহযোগী হিসেবে জাতীয় পার্টির (জাপা) রওশনপন্থি অংশের মহাসচিব কাজী মো. মামুনুর রশীদ কাজ করছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রোববার রাতে রাজধানীর একটি হোটেলের সামনে থেকে কাজী মামুনকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতে তাঁকে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
পুলিশের দাবি: ষড়যন্ত্রে অর্থ লেনদেন ও সমন্বয়
ডিবির তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, এনায়েত করিম বাংলাদেশে আসার পর কাজী মামুন তাকে বিমানবন্দর থেকে রিসিভ করেন, আবাসন ও খরচের ব্যবস্থা করেন এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক, ব্যবসায়িক ও প্রভাবশালী ব্যক্তির সঙ্গে গোপন বৈঠক করতে সহায়তা করেন।
তদন্ত কর্মকর্তা আবেদনে উল্লেখ করেন,
“মামুনুর রশীদসহ সহযোগীরা বাংলাদেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি, সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন উসকে দেওয়া এবং রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি ধ্বংসের ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিলেন।”
তারা আরও দাবি করেন, কাজী মামুনের সহায়তায় এনায়েত করিম দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সূত্র থেকে অর্থ সংগ্রহ করে সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করতেন।
আইনজীবীর যুক্তি
অন্যদিকে, কাজী মামুনের আইনজীবী সিরাজুল হক ফয়সাল বলেন,
“আমাদের মক্কেলের এনায়েত করিমের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি তাঁকে রিসিভ করেননি। রিমান্ড আবেদন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।”
প্রসিকিউটরের বক্তব্য
রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর কাইয়ুম হোসেন নয়ন বলেন,
“এনায়েত করিম বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন। কাজী মামুন তাকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে ষড়যন্ত্রে যুক্ত হন। নির্বাচনকে ঘিরে তারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে।”
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মার্কিন নাগরিক এনায়েত করিম চৌধুরীকে গত ২০ সেপ্টেম্বর মিন্টো রোড থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি ২০০৪ সালে মার্কিন নাগরিকত্ব পান এবং সম্প্রতি নিউইয়র্ক থেকে বাংলাদেশে এসে সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন বলে পুলিশের দাবি।