10/14/2025 শিশুদের অধিকার সুরক্ষায় আমাদের অঙ্গীকার: বাসযোগ্য শিশুবান্ধব পৃথিবী গড়তে হবে আজই
odhikarpatra
৬ October ২০২৫ ২৩:৫৮
বিশ্ব শিশু দিবস ২০২৫ বিশেষ সম্পাদকীয় | অধিকার পত্র ডটকম
আজ বিশ্ব শিশু দিবস। বিশ্বের প্রতিটি দেশের শিশুদের অধিকার রক্ষা, নিরাপত্তা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য নিশ্চিত করার অঙ্গীকারের দিন এটি। শিশু কেবল ভবিষ্যতের নাগরিক নয়—তারা আজকের সমাজেরও অংশ। তাই তাদের জন্য নিরাপদ, ন্যায্য ও সহনশীল একটি পৃথিবী গড়ে তোলা আমাদের নৈতিক ও মানবিক দায়িত্ব।
শিশুর অধিকার রক্ষা এখন সময়ের দাবি
জাতিসংঘ ঘোষিত শিশু অধিকার সনদ অনুযায়ী, প্রত্যেক শিশুর বেঁচে থাকা, বিকশিত হওয়া, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও সুরক্ষার অধিকার রয়েছে। এর সঙ্গে বাংলাদেশের সংবিধানও শিশুদের পাঁচটি মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার অঙ্গীকার করেছে—
১️⃣ খাদ্য: পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাবার প্রতিটি শিশুর প্রাপ্য। অপুষ্টি শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
২️⃣ বস্ত্র: আবহাওয়া ও মর্যাদার উপযোগী পোশাক পাওয়া তাদের মৌলিক মানবাধিকার।
৩️⃣ শিক্ষা: শিক্ষা শিশুদের জীবনের আলোকবর্তিকা। প্রতিটি শিশুর জন্য বিনামূল্যে ও মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।
৪️⃣ চিকিৎসা: শিশুদের স্বাস্থ্যসেবা শুধু রোগ নিরাময় নয়, এটি তাদের সুস্থ ও নিরাপদ বেড়ে ওঠার নিশ্চয়তা।
৫️⃣ বাসস্থান: নিরাপদ আশ্রয় শিশুদের মানসিক স্থিতি ও আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলে। প্রতিটি শিশুর জন্য একটি সুরক্ষিত ঘর প্রয়োজন।
এই মৌলিক অধিকারগুলো বাস্তবায়ন ছাড়া শিশুদের অধিকার রক্ষা সম্ভব নয়। একটি শিশুর প্রতি অবহেলা মানে পুরো সমাজের প্রতি অন্যায়। তাই পরিবার, স্কুল, রাষ্ট্র ও সমাজ—সব স্তরে শিশুদের সুরক্ষায় সম্মিলিত উদ্যোগ এখন সময়ের দাবি।
শিক্ষাই পরিবর্তনের মূল চাবিকাঠি
একটি শিশুর জীবন বদলে দিতে পারে মানসম্মত শিক্ষা। শিক্ষা শুধু জ্ঞান নয়, মানবিকতা, সহমর্মিতা ও নাগরিক চেতনা গড়ে তোলে। এজন্য প্রয়োজন শিক্ষা-বান্ধব বাজেট, দক্ষ শিক্ষক, ও স্কুলে নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করা।
নিরাপদ ও স্নেহময় পরিবেশ চাই
শিশুরা যেন ভয় নয়, ভালোবাসার পরিবেশে বড় হতে পারে—এমন সমাজ গড়তে হবে। ডিজিটাল যুগে শিশুদের সাইবার নিরাপত্তা ও মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষায় অভিভাবক, শিক্ষক ও রাষ্ট্রের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
উপসংহার
বিশ্ব শিশু দিবসের অঙ্গীকার হোক—
“প্রতিটি শিশুর হাসির পেছনে থাকুক খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা ও বাসস্থানের নিশ্চয়তা।”
শিশুবান্ধব সমাজ ও বাসযোগ্য পৃথিবী গড়ে তুলতে হলে আজ থেকেই পরিবার, রাষ্ট্র ও নাগরিক সমাজকে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করতে হবে। কারণ শিশুর হাসিই আলোকিত করবে আমাদের আগামীর পৃথিবী।